তিল আমাদের পরিচিত একটি শস্য। নাড়ু, মোয়া ইত্যাদি মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তিল। এছাড়া তিলের তেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তিলের তেল ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার ক্ষেত্রেও। কিন্তু আপনি কি জানেন শুধু তিল নয় তিলের বীজেরও রয়েছে অনেক গুণ আর আজকের লেখাতে আপনাদের জন্য থাকছে তিল বীজের কিছু চমৎকার গুণ।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তিল বীজের কিছু চমৎকার গুণঃ
১। এনার্জির ঘাটতি দূর করে: তিলের বীজে রয়েছে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। সেই সঙ্গে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিকর উপাদান, যা নানাভাবে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে একেবারেই সময় লাগে না। তবে ফাইবার যে কেবল মাত্র হজমের উন্নতি ঘটায়, এমন নয়। এই উপাদান কনস্টিপেশন মতো সমস্যা কমানোর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের পেটের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩। হাড়কে শক্তপোক্ত করে: তিল বীজের অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস। এই তিনটি উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে দাঁতের খেয়াল রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, তীলের বীজ থেকে তৈরি হওয়া তেল দাঁতে লাগালে একদিকে যেমন ক্যাভিটির আশঙ্কা কমে, তেমনি মুখ গহ্বরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াও মারা পরে।
৪। ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে: ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি তিল বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইটেট নামক একটি উপাদান, যা দেহের অন্দরে যাতে কোনওভাবে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়েও এই মারণ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, শরীরে যত টক্সিক উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তত দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই কোনও ভাবেই এই বিষের পরিমাণ না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৫। রক্তচাপকে স্বাভাবিক থাকে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে তিলের বীজ থেকে তৈরি হওয়া তেল শরীরে প্রবেশ করার পর সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্লাড ভেসেলের উপর তৈরি হওয়া চাপ কমাতে শুরু করে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে একেবারেই সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, তিল বীজের অন্দরে থাকা বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদানও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।