জামরুল বা আমরুজ কিংবা গোলাপজাম অথবা সাদা জাম যে নামেই ডাকুন তাকে, আপনাকে স্বীকার করতেই হবে, জামরুলের মতো নিরীহ-সাধাসিধে ফল খুব কমই আছে।জামরুল ফল দেখতে ঘন্টাকৃতি। এ কারণে এটি Bell Fruit নামেও পরিচিত। জামরুল ফলের শাঁস হালকা অর্থাৎ নিরেট নয় এবং কেন্দ্রে একটি বীজ ধারণ করে।কেউ কেউ বলেন, জামরুল খেতে পানশে। এর প্রকৃত কারণটা অবশ্য অনেকেই জানেন না। যে বছর প্রকৃতিতে প্রচন্ড রোদ পড়ে, সে বছর জামরুল হয় মিষ্টি। আর ছায়ার জামরুল খেতে পানশে। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও এই ফলটি খেতে সুস্বাদু। জামরুল সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপী, লাল এবং কালো বর্ণেরও হয়।
সহজলভ্য জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এতে খনিজ পদার্থ রয়েছে কমলার তিন গুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লিচু ও কুলের সমান এবং আঙুরের দ্বিগুণ। আয়রনের পরিমাণ কমলা, আঙুর, পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়েও বেশি। ফসফরাসের পরিমাণ আপেল, আঙুর, আম ও কমলার চেয়ে বেশি।
এই ফলটিতে আছে ক্যালরিশক্তি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, খাদ্যআঁশ, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি নানা উপাদান। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে জামরুলের জুড়ি নেই।
জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। ভিটামিন সি এবং ফাইবারসমৃদ্ধ জামরুল হজমশক্তি বাড়াতে দারুণ সহায়তা করে। তাই যাদের পেটে হজমের সমস্যা আছে তারা বিনা দ্বিধায় জামরুল খেতে পারে।
যারা কোলেস্টরেল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে তারা জামরুল খেলে উপকার পাবে। যারা ডায়াবেটিস নিয়ে শঙ্কায় আছে, তারা ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জামরুল খেতে পারে। নির্ঘুম কিংবা দুশ্চিন্তায় যাদের চোখের নিচে কালি পড়েছে তারাও জামরুল খেতে পারেন।