
নাশপাতি রোজাসিয়ে পরিবারের পাইরাস গণভুক্ত উদ্ভিদ ও তার ফলবিশেষ। ঠান্ডা অবস্থায় পাকা নাশপাতিতে চমৎকার সুগন্ধ রয়েছে। এগুলো রসালো তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালোভাবে পাকে না। ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। আবরণ অংশটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম। জ্যাম, জেলি অথবা রসালো অবস্থায় বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। নাশপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, বি ২, ই, ফলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিন পুষ্টিকর উপাদান। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলেরও উৎকৃষ্ট উৎস।শুধু তাই নয়, নাশপাতিতে চর্বি এবং ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে নাশপাতি উৎপাদিত হলেও সম্প্রতি এর খাদ্যগুণ দৃষ্টি কেড়েছে সবার।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক নাশপাতি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
১। খুশকি ও চুল পড়া : খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়।
২। মাড়ি ক্ষয়রোধ : দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকারি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্য : কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে নাশপাতির জুড়ি নেই। বিকালে বা রাত্রে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৪। হৃদরোগে : করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপাতি খেলে খুবই উপকার হয়।
এ ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। আবরণ অংশটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম। জ্যাম, জেলি অথবা রসালো অবস্থায় বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। শক্ত ভূমিতে নাশপাতি গাছ ভাল জন্মে।