টুকটুকে লাল কিংবা মিচমিচে কালো। ছোট্ট আপেলের মতো দেখতে। সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখে জিভের জল আটকে রাখাটা আসলেই দায় হয়ে দাঁড়ায়। ফলটির আকার আর গঠন বড় সাইজের বইচির মতো হলেও ছোট আপেলের সাথেই এর সাদৃশ্যটা বেশি। মূলত জাপান দেশের ফল হলেও এটি এখন পাওয়া যায় আমাদের দেশেও। দেখতে লোভনীয় আর স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। তবে কেবল স্বাদ আর সৌন্দর্যের কারণেই নয় পুষ্টিগুণেও নাকি এর জুড়িমেলা ভার।
পুষ্টিগুণ:- প্রতি ১০০ গ্রাম চেরিতে আছে ক্যালরি ৬৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফোলেট ৪ গ্রাম, ভিটামিন সি ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৬৪০ আইইউ, ভিটামিন কে ২ গ্রাম, পটাশিয়াম ২২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম।
আসুন জেনে নেওয়া যাক চেরি ফলের স্বাস্থ্য উপকারী কিছু গুণঃ
১। চেরিতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের জন্যে উপকারী।
২। চেরি দেহে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগ কমাতেও সাহায্য করে।
৩। চেরিতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।
৪। চেরিফল বাতের ব্যথা, মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫। চেরি ফল নিয়মিত খেলে রক্তের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে।
৬। নিয়মিত চেরি খেলে ডায়বেটিক হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
৭। চেরিতে থাকা মিলাটোনিন নামক উপাদান দেহের রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।