জেনে নিন বেগুনের খাদ্যগুণগুলো | 20fours
logo
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:২৬
বেগুনের খাদ্যগুণ
জেনে নিন বেগুনের খাদ্যগুণগুলো
Desk

জেনে নিন বেগুনের খাদ্যগুণগুলো

কথায় বলে যার কোনো গুণ নেই সে নাকি বেগুন। কিন্তু এই বাক্যটি একেবারেই ভুল। গ্রাম গঞ্জের খাবার থেকে আসতে আসতে বেগুন হয়ে উঠেছে এক স্বাস্থ্য সচেতন শহরাঞ্চলের শিক্ষিত মানুষদের পছন্দের খাবার। বেগুন পোড়া দিয়ে মুড়ি খাওয়ার আনন্দ যে খেয়েছে সেই জানে। বেগুন ভাজা থেকে শুরু করে মুচমুচে জিভে জল আনা শীতের গরম গরম বেগুনি, আবার ভাতের সুক্তো সবকিছুতেই  আছে বেগুনের কেরামতি। তাই বেগুন নয় কোনো হেলাফেলার সবজি। সারা বছর ধরেই একে পাওয়া যায়, তাই ব্যবহারও বিভিন্ন ভাবে করা যায়। তবে শীতে যে রকমারি বেগুন পাওয়া যায় তার খাদ্যগুণই আলাদা।আজকের লেখাতে থাকছে বেগুনের খাদ্যগুণ গুলো।

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেগুনের খাদ্যগুণ গুলোঃ

১। কোলেস্টেরল হলো চর্বিজাতীয় উপাদান, যা রক্তে জমে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তারা কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন বেগুন। কারণ বেগুনে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই।

২। পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদ্রান্ত্রের (এগুলো পেটের ভেতরের অঙ্গ) ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে। যেকোনো ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।

৩। বেগুনে আয়রণও রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রক্তশূন্যতার রোগীরাও খেতে পারে এই সবজি। এতে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই ডায়াবেটিসের  রোগী অধিক ওজন সম্পন্ন ব্যক্তিরা নিঃসংকোচে খেতে পরে বেগুন।

৪। বেগুনে রয়েছে রিব্লোফ্ল্যাভিন নামক উপাদান। এই উপাদান জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব।

৫। বেগুন ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি। ভিটামিন ‘এ’ চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক, চুল, নখকে করে মজবুত। দেহে রক্ত জমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘কে’। এই ভিটামিন চারটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে বহুগুণে কার্যকর।

৬। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই সবজিতে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক।

৭। ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম দাঁত, হাড় ও নখ শক্ত করে। বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা দাঁতকে করে মজবুত, দাঁতের মাড়িকে করে শক্তিশালী। ভঙ্গুরতা রোধ করে নখের।

৮। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বেগুন পরিহার করা উচিত। বেগুন অধিকাংশ মানুষের অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়।

৯।  জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডায়রিয়া চলাকালীন বেগুনের তরকারি খাওয়া অনুচিত। ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাওয়ার পরে বেগুনের তরকারি খাবেন।

১০।  ডায়রিয়া হওয়ার পর দেহে জিঙ্কের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করে বেগুন। জিঙ্কের ঘাটতি বেশি হয় মূলত শিশুদের।