কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতা | 20fours
logo
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:৩৩
কাঁঠাল
কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতা
Desk

কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতা

গ্রীষ্ম মানেই ফলের মৌসুম। আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, তরমুজ ইত্যাদি রসালো ফল সহজলভ্য এই মৌসুমে।একেক ফলের রয়েছে একেক পুষ্টিগুণ। প্রতিটি মৌসুমি ফলই শরীরের নানা রকম ভিটামিন ও খনিজের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। আর আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালেরও রয়েছে নানা গুণাবলী। কাঁঠাল একটি সুস্বাদু রসালো ফল। এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। আর আজকের লেখাতে থাকছে এই কাঁঠালের ২০টি উপকারিতার কথা।

আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতাঃ

১। কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।

২।  কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্ত চাপের উপশম হয়।

৩।  কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৪।  কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।

৫।  কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।

৬। কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭।  টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।

৮। বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।

৯।  কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

১০।  চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।

১১।কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

১২।কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।

১৩।কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

১৪। কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।

১৫। ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

১৬। চিকিৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।

১৭। গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

১৮। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

১৯। এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।

২০। কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।