আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯ ১৪:০১
লান্টানা
লান্টানা
Desk
লান্টানা গুল্ম জাতীয় ফুলগাছ। লান্টানা এর বৈজ্ঞানিক নাম Lantana camara।লান্টানা বা পুটুস বা "ছত্রা" হল ভারবেনা বা ভারবেনাস পরিবারভূক্ত একটি ফুলের প্রজাতি। গাছের পাতা সবুজ, কিনারা খাঁজকাটা, মধ্যশিরা স্পষ্ট এবং পাতা কচলালে গন্ধ পাওয়া যায়। গাছ ঝোপালো আকৃতির এবং শাখা-প্রশাখা বিস্তীর্ণ। গাছের উচ্চতা গড়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট হয়ে থাকে। বাগানের কেয়ারি নির্মাণে এ ফুলগাছ অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। পতিত জমি, বন-জঙ্গল, পুকুরপাড়, বাঁধ, রাস্তার ধারে এই ফুলগাছ চোখে পড়ে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি রৌদ্রেজ্জ্বল থেকে হালকা ছায়াযুক্ত স্থান এবং প্রায় সব ধরনের মাটিতে লান্টানা জন্মে। গাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু, পরিবেশ-প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকতে পারে। রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য মৌসুমেও এ ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুল ঊর্ধ্বমুখী, আকারে ছোট, পাপড়ি পাঁচটি। পরিপূর্ণ ফোটার পর ফুলগুলো রং বদলায়। তাই একই গাছে হলুদ, লাল, কমলা, হালকা বেগুনি রঙের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। থোকা থোকা ফুল প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফোটে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, মালয়েশিয়ায়, ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মে। লান্টানা ভেষজ গুণে গুণান্বিত।
উপকারিতাঃ
১। লান্টানা ফুলগাছ পিষে লাগালে চর্মরোগ ভালো হয়।
২। লান্টানা ফুলগাছ পিষে এই ক্বাথ হালকা গরম করে খেলে জ্বর নিরাময়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৩। লান্টানা পাতার নির্যাস উদ্ভিদের ছত্রাক ও ব্যাকটোরিয়া ঘটিত রোগ দমনে কার্যকর।
৪। লান্টানা পাতার রস হালকা গরম করে সকাল বিকেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা ভালো হয়।
৫। লান্টানা গাছের মূল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে আমবাতে উপকার পাওয়া যায়।
৬। লান্টানা পাতা বেটে হলুদ গুঁড়োর মিশিয়ে লাগালে খোস পাঁচড়া ভালো হয়।