শিউলি ফুল বৈজ্ঞানিক নাম Nyctanthes arbor-tristis। শিউলি গাছ নরম ধূসর ছাল বা বাকল বিশিষ্ট হয় এবং ১০ মিটারের মত লম্বা হয়। গাছের পাতা গুলো ৬-৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী থাকে। সুগন্ধি জাতীয় এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃতি ও মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মত বৃন্ত। এর ফল চ্যাপ্টা ও বাদামী হৃদপিণ্ডাকৃতির। ফলের ব্যাস ২ সেন্টিমিটার এবং এটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগে একটি করে বীজ থাকে। এই ফুল শরৎকালে ফোটে। এর ফুলগুলি রাতে ফোটে এবং সকালে ঝরে যায়।ভারতীয় উপমহাদেশে এই ফুলকে দুর্গা পূজার আগমনি ফুুলের মর্যাদা দিয়েছে। শরৎ ও হেমন্ত কালের শিশির ভেজা সকালে ঝরে থাকা শিউলি অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, থাইল্যান্ড,য় উত্তরে নেপাল, ও পূর্বে পাকিস্তান পর্যন্ত এলাকা জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়। শিউলি ফুলের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।
উপকারিতাঃ
১। শিউলি পাতার রস বা ছালের চূর্ণ তিক্তরস প্রধান হওয়ায় প্রাকৃত ও বৈকৃত জ্বরে ব্যবহারের উপযোগিতা রয়েছে।
২। শিউলি পাতার রস গরম করে অথবা গাছের ছাল চূর্ণ দেড় গ্রাম মাত্রায় গরম পানিসহ সকালে ও বিকালে দুইবেলা খেলে কোন কোন ক্ষেত্রে কেঁচোর মত ক্রিমি পড়ে যায়, তবে ঝুরো ক্রিমির উপদ্রবটা কমে যাবে।
৩। শিউলি পাতার রস গরম করে খেলে গলা বসে গেলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। শিউলি পাতার রস সকালে ও বিকালে শরীরের জ্বলাপোড়া কমে যায়,
৫। শিউলি গাছের ছালের চূর্ণ করে সকালে ও বিকালে গরম পানিসহ খেলে কিছুদিনের মধ্যে মেদের হ্রাস লক্ষ্য করা যাবে।
৬। শিউলি গাছের ছালের চূর্ণ সকালে ও বিকালে দুইবেলা গরম পানিসহ খেলে পিপাসা কমবে। পিপাসার মূল কেন্দ্র যে ক্লোম, এটির শুষ্কতা দূর হয়।
৭। মূর্ছা রোগ দেখা দিলে শিউলি গাছের পাতার রস গরম করে খেলে মূর্ছা রোগে উপকার পাওয়া যায়।