চন্দন তেলের উপকারিতা | 20fours
logo
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০১:০৩
চন্দন তেলের উপকারিতা
চন্দন তেলের উপকারিতা
Desk

চন্দন তেলের উপকারিতা

রূপচর্চার উপাদানগুলোর মধ্যে উপরের দিকেই আছে চন্দনের নাম। এই প্রজাতির উদ্ভিদের উচ্চতা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত হয় এবং প্রস্থ হতে পারে ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত। এরা ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বিভিন্ন প্রসাধনী ও লোকজ চিকিৎসায় এটি ব্যবহার পরিরক্ষিত হয়। চন্দনের কাঠ বা চন্দনের বিভিন্ন প্যাকের পাশাপাশি চন্দন তেলেরও রয়েছে নানান উপকারিতা আর আজকের লেখায় সে বিষয়েই থাকছে আমাদের আলোচনা। চন্দন গাছের ডাল কে চূর্ণ করে শুকায়ে ঘানির সাহায্যে তেল তৈরী করা হয় I

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চন্দন তেলের উপকারিতাঃ

(১) রোদে পোড়া ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চন্দনের ব্যবহার করুন। চন্দনের তেলে আলফা স্যানটালোল নামক একটি উপাদান থাকে যা মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার নানা ক্রিমেও চন্দনের তেলের ব্যবহার দেখা যায়।

(২) চন্দনের তেলে অ্যান্টিসেপটিক তত্ত্ব থাকে বলেই তা ব্রণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যালার্জি বা চুলকানি নিয়ন্ত্রণেও এর ব্যবহার হয়। সামান্য হলুদ, কর্পূর আর চন্দনের প্রলেপ সারা রাত লাগিয়ে রাখলে ব্ল্যাকহেডস আর ব্রণের সমস্যা থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন।

(৩) ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় মূলত তিন-চারটি কারণে। তার মধ্যে আছে আর্দ্রতার অভাব, সূর্যালোক, দূষণ ও ধুলো। খুব ভালো করে মুখ পরিষ্কার করলেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পুরোপুরি মুছে ফেলা যায় না। তাই চন্দনের গুঁড়া, ডিমের সাদা অংশ আর মধু মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন মুখে। ত্বক টানটান ও ঝলমলে থাকবে।

(৪) চন্দনের তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অক্সিডেটিভ এনজাইমে সমৃদ্ধ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ কার্যকর। যেসব কেমোকাইন ও সাইটোকাইনের প্রভাবে ইনফ্লামেশন বাড়ে, তার উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে চন্দনের তেল। সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা সারাতেও চন্দনের ব্যবহার হয়। তবে চন্দনের তেল কখনো সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়, সবসময় নারিকেল,আমন্ড, অলিভ বা অন্য কোনো ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে তা মিশিয়ে নেবেন।

এছাড়াও চন্দনের তেলের অপূর্ব গন্ধ আপনাকে ঘিরে রাখবে অনেক বেশিক্ষণ, ডিওডোরান্ট বা পারফিউমের অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে চাইলে চন্দনের উপর আস্থা রাখতে পারেন।