Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
গাছ চিনুন

গাছ চিনুনঃ কুসুম

Desk | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৪৬
গাছ চিনুনঃ কুসুম
কুসুম ইংরেজি নাম Safflower,
কুসুম বৈজ্ঞানিক নাম Carthamus tinctorius L,
জগৎ Plantae,
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Asterids,
বর্গ Asterales,
পরিবার Asteraceae,
গোত্র Cynareae,
গণ Carthamus,
প্রজাতি C. tinctorius,
 
কুসুম একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। এই গাছ ১ - ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা- হলুদ রংএর ফুর গুলি প্রায় ১ থেকে ১১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায়। কুসুসফুলের পাতার কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা এবং এর কাণ্ড, পাতা বা ফুলের কলিতে তীক্ষ্ণ ও ধারালো কাঁটা থাকে। গাছের ডগা থেকে সবুজ গোলাকার কলি বের হয়। কলি থেকেই হলদে-লাল আভাযুক্ত ফুল ফোটে। চিকন শলার মতো অনেকগুলো পাপড়ি থাকে এ ফুলে। ফল ত্রিকোণাকার, সাদা ও উপরটা মসৃণ। হেমন্তকালে বীজ লাগানো হয়, শীতকালে ফুল ফোটে এবং গ্রীষ্মকালে ফল হয়। কুসুমফুল সাধারণত ক্ষেতের চারদিকে লাগানো হয় মূল ফসলকে রক্ষা করার জন্য। কেননা এ গাছের পাতা, ফুল বা ফল গাবাদিপশু খায় না। আবার অনেকে পুরো ক্ষেতজুড়েই কুসুমফুল লাগান এবং সাথী ফসল হিসেবে ডালজাতীয় অন্যান্য গাছও লাগান। মিষ্টি গন্ধযুক্ত কুসুমফুল শুধু মানুষকেই নয়; কীট-পতঙ্গকেও আকৃষ্ট করে। লোকায়ত চিকিৎসায় এর ব্যবহার বহুবিধ। বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। এ তেল রান্না ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এই ফুল গাছ বাংলাদেশ সহ সর্বএ জন্মায়। এছাড়াও কুসুম ফুল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপরে