Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
গাছ চিনুন

গাছ চিনুনঃ চন্দন

Desk | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:১৫
গাছ চিনুনঃ চন্দন

চন্দন ইংরেজি নাম Sandal

চন্দন বৈজ্ঞানিক নাম Santalum album Linn

জগৎ Plantae,

শ্রেণীবিহীন Angiosperms Eudicots, Core eudicots,

বর্গ Santalales,

পরিবার Santalaceae,

গণ Santalum,

প্রজাতি S. album,

দ্বিপদী নাম Santalum album L.,

চন্দন ছোট থেকে মাঝরি ধরণের চিরহরিৎ বৃক্ষ।  চন্দন একটি সুগন্ধি গাছের নাম। চন্দন বিভিন্ন প্রকার আছে। তার মধ্যে চার প্রকার চন্দনের কথা জানা যায়।  যেমন : রক্তচন্দন, পীতচন্দন, শ্বেচন্দন, এবং কুচন্দন। এই প্রজাতির উদ্ভিদের উচ্চতা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত হয় এবং প্রস্থ হতে পারে ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত। এরা ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এটি সবচাইতে বেশি পাওয়া যায় ভারতে, এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও এই সুগন্ধি গাছ পাওয়া যায়। যেখানে বছরে ৬০০ থেকে ১৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয় এবং তাপমাত্রার পরিসর ২০-৪৫০ সেসসিয়াস থাকে, সেখানে এই বৃক্ষ জন্মাতে পারে।এটি বিভিন্ন মৃত্তিকা, যেমন বেলে, ক্লে, লাল, ল্যাটেরাইট দোঁআশ এবং কালো মৃত্তিকায় জন্মায়।ভারতে এ উদ্ভিদের ফুল আসে মার্চ থেকে এপ্রিল এবং উদ্ভিদে ফুল আসে মার্চ থেকে এপ্রিল এবং শীতকালে ফল পরিপক্ক হয়। পাকা ফল পাখিদের প্রিয় খাদ্য এবং পাখির মাধ্যমে বীজের বিস্তার ঘটে। টাটকা বীজ প্রায় দু’মাস সুপ্তাবস্থায় থাকে এবং তারপর ৮-১৪ দিনের মধ্যে এদের অঙ্কুরোধগম হয়। সাকারের মাধ্যমেও এ উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয়। একাধারে সুগন্ধ ও অন্যদিকে ঔষধি গুণের জন্যই চন্দনের এত কদর ও সুখ্যাতি। গাছের অসার অংশ সাদা এবং গন্ধহীন।চন্দন বৃক্ষের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হল সুগন্ধযুক্ত।

উপরে