গাছ চিনুনঃ তিল গাছ
তিল ইংরেজি নাম Sesame
তিল বৈজ্ঞানিক নাম Sesamum indicum
জগৎ Plantae
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Asterids,
বর্গ Lamiales,
পরিবার Pedaliaceae,
গণ Sesamum,
প্রজাতি S. indicum,
দ্বিপদী নাম Sesamum indicum L.,
তিল একবর্ষজীবি উদ্ভিদ। এর বীজে তেলের পরিমান ৪৫-৫৫%তিল বছরে দুবার হয়। তিলের চাষ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে হয়। বর্ষাকালে তিল বোনা হয় এবং শরৎকালে কাটা হয়। হেমন্তকালে যে তিল বোনা হয় সেটা কাটা হয় গ্রীষ্মের শুরুতে। এই গাছ প্রায় ৫০ থেকে ১০০ সেমি (১.৬ থেকে ৩.৩ ফু) লম্বা, এবং এর উল্টো পাতা সাধারনত ৪ থেকে ১৪ সেমি (১.৬ থেকে ৫.৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা এবং মাঝথানে ব্যবধানসহ বিস্তৃতভাবে ভল্লাকার হয়ে থাকে ৫ সেমি (২ ইঞ্চি) পর্যন্ত। ফুল সাধারণ নীল রঙের হয় এবং প্রতিফুলে একটি করে ফল অর্থাৎ বীজ থাকে। প্রতিটি ফলে খাঁজকাটা বিভাগে অনেক বীজ থাকে।আমাদের দেশে সাধারণত চার রকম তিল দেখতে পাওয়া যায়। যেমন : তিল, কালো তিল, রক্তাভ তিল, মেটে রঙের তিল। কালো তিল সাধারণত ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাদা তিলে গন্ধ কম হয় এবং খেতেও ভালো লাগে। সেই কারণে খাদ্যে এবং প্রসাধনে এই সাদা তিলের তেল অনেকে ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,মায়ানমার, আফ্রিকা, গন চীন,সুদান, নাইজার,সোমালিয়ায় এর চাষ করা হয়ে থাকে। তিলের তেল,বীজ, খইল, ফুল, এবং শুকনো গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।