গাছ চিনুনঃ ঢেঁড়স
ঢেঁড়স ইংরেজি নাম lady's fingers, gumbo
ঢেঁড়স বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus
অন্য নাম ভেন্ডি
সংস্কৃত নাম ডিণ্ডিস, গন্ধমূলা
জগৎ Plantae
বিভাগ Magnoliophyta
শ্রেণী Magnoliopsida, Rosids
বর্গ Malvales
পরিবার Malvaceae
গণ Abelmoschus
প্রজাতি A. esculentus
দ্বিপদী নাম Abelmoschus esculentus (L.) Moench
ঢেঁড়স একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। ঢেঁড়স গাছ লম্বায় প্রায় ২ মিটার হয়ে থাকে। এই গাছের কাণ্ডে লোম থাকে। এদের পাতার বোঁটা প্রায় ১৫-২০ সেন্টিমটার লম্বা হয়। এর পাতা বেশ বড় হয়। তবে পত্রফলক ৫ থেকে ৭টি খণ্ডে খণ্ডিত থাকে এবং দাঁতযুক্ত। পাতার গাত্র খসখসে হয়। জাত ভেদে এর ফুলের পাপড়ি সাদা বা পীত বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৪-৮ সেন্টিমিটার। কাঁচা অবস্থায় এর ফল সবুজ থাকে। ফলের গায়ে ছোটো ছোটো লোম থাকে। ফলের অগ্রভাগ সরু এবং সামান্য বাঁকা হয়। ফলগুলো প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চওড়া হয় প্রায় ৫ সেন্টিমিটার। ফলের গায়ে শিরা থাকে। ঢেঁড়স ফলে ৪-৫টি বীজ থাকে। বাংলাদেশে সারা বছরই ঢেঁড়সের চাষ করা যায়। তবে সাধারণত গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। দোঁ আঁশ ও বেলে দোঁ আঁশ ঢেঁড়স চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়। এর বিভিন্ন জাত বাংলাদেশে চাষ করা হয়ে থাকে। এই জাতগুলো হলো— শাউনি, পারবনি কানি, বারী ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানী, পেন্টা গ্রীন, কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন। এর ভিতর কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন সারা বছর চাষ করা হয়ে থাকে। ঢেঁড়স বাংলাদেশ সহ সর্বত্র জন্মায়। ঢেঁড়স ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।