গাছ চিনুনঃ কারিপাতা
কারিপাতা ইংরেজি নাম Barsunga
কারিপাতা বৈজ্ঞানিক নাম Murraya koenigii অথবা Bergera koenigii
গোএ Rutaceae
উদ্ভিদ Tropical বা sub-tropical
কারিপাতা একটি ছোট উদ্ভিদ। এই গাছ ৪-৬ মিটার (১৩-২০ ফিট) উঁচু হয়, যার গুড়ির ব্যাস ৪০ সেমি (১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়।সুগন্ধি পাতাগুলো পক্ষল, প্রতি গুচ্ছে ১১-২১ টি করে পাতা, প্রতিটি পাতা ২–৪ সেমি (০.৭৯–১.৫৭ ইঞ্চি) লম্বা এবং ১–২ সেমি (০.৩৯–০.৭৯ ইঞ্চি) প্রশস্ত। এই গাছে ছোট সাদা ফুল ফোটে যা নিজে নিজে পরাগায়িত হয়ে ছোট চকচকে রসালো ফল উৎপন্ন করে যার ভেতর একটি মাত্র, বড় এবং টেকসই বীজ থাকে। যদিও ফলটির শাঁস খাওয়া যায়। যেটি মিষ্টি এবং ঔষধের মত গন্ধযুক্ত। সাধারণভাবে, শাঁস বা বীজ কোনটিই রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় না। মূলত কারি বা ঝোল তরকারি রান্নার জন্য এ গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতেও কারিপাতা গাছ জন্মাতে পারে। বীজ থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হবে। বর্ষার শুরুতে ২-৩ মিটার পর পর জমিতে চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর জন্য সবদিকে আধা মিটার আন্দাজে গর্ত তৈরি করে গর্তের মাটির সাথে এক ঝুড়ি গোবর সার মিশিয়ে সপ্তাহ দুয়েক রেখে দিতে হবে। জুন-জুলাই মাসে চারা লাগাতে হবে। প্রতি বছর জুলাই মাসে একবার গাছপ্রতি ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হবে। খরার সময় সেচ দিলে উপকার হয়। গাছের বয়স ১৫ মাস হলেই গাছ থেকে পাতা তোলা শুরু করা যায়। এই গাছ সীমিত ভাবে বাংলাদেশে জন্মে। তবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় প্রচুর জন্মে। কারিপাতা, গাছ, শিকড় সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুগন্ধি মসলা হিসেবে সবুজ পাতা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এই পাতায় রয়েছে ৬.১% প্রোটিন, ১.০% তেল, ১৬% শ্বেতসার, ৬.৪% আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি।