Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
গাছ চিনুন

গাছ চিনুনঃ ফলসা

Desk | আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:৩০
গাছ চিনুনঃ ফলসা

ফলসা ইংরেজি নাম Phalsa

ফলসা বৈজ্ঞানিক নাম Grewia asiatica

জগৎ Plantae

শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Rosids

বর্গ Malvales

পরিবার Malvaceae

উপপরিবার Grewioideae

গণ Grewia

প্রজাতি G. asiatica

দ্বিপদী নামGrewia asiatic L.

ফলসা আমাদের কাছে বুনোফল হিসেবেই পরিচিত।  ফলসা গাছ সাধারণত ৫ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পাতা খসখসে, রোমশ ও কিনারা দাঁতানো।ফলসা পাকার মৌসুমে সারাদিনই ওদের আনাগোনা চোখে পড়ে। হয়তো আরও অনেক প্রাণী এ ফল খেয়ে বেঁচে থাকে। শুধু ফলের কথা বাদ দিলেও ফলসা গাছ হিসেবেও অনন্য। বড় বড় পাতার এই গাছ ডালপালা ছড়িয়ে ছাতার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। সারা বছর তামাটে রঙের নতুন নতুন পাতা এগাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।ফলসা মাঝারি আকৃতির পাতাঝরা গাছ। ফলসা আমাদের কাছে বুনোফল হিসেবেই পরিচিত। হালকা হলদে রঙের ক্ষুদ্রাকৃতির ফুল ফোটে মার্চ-এপ্রিলে। আর ফল পাকতে শুরু করে মে-জুন মাসের দিকে। ফল দেখতে অনেকটা মটর দানার মতো, গোলাকার। ফলের কাঁচা রং সবুজ, তখন স্বাদে টক। পাকা ফলের রং কালচে বাদামি, তখন স্বাদ টক-মিষ্টি ধরনের। এই ফলের রস গরমে ক্লান্তিনাশক। তাছাড়া স্কোয়াশ ও অন্য কোমল পানীয় তৈরিতেও কাজে লাগে। গ্রামে একসময় প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও ইদানীং বেশ দুর্লভ হয়ে উঠেছে গাছটি। একসময় পথের ধারে, পতিত জায়গায় আপনা-আপনিই জন্মাত। বীজ ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করত পাখিরা। এ গাছ খুঁজে পাওয়া অনেকটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ এই ফল শিশুদের পাশাপাশি পাখিদেরও অনেক প্রিয়। সম্ভবত কাকই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মে। এই গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উপরে