গাছ চিনুনঃ বেগুন
বেগুন ইংরেজি নাম Brinjal
বেগুন বৈজ্ঞানিক নাম lanum melongena
জগৎ Plantae
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Asterids
বর্গ Solanales
পরিবার Solanaceae
গণ Solanum
প্রজাতি।S. melongena
দ্বিপদী নাম Solanum melongena L.
বেগুন একপ্রকারের সবজি। বেগুন গাছ প্রায় ৪০ থেকে ১৫০ সেমি দীর্ঘ হয়। পাতাগুলো ঘন এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ সেমি দীর্ঘ ও ৫ থেকে ১০সেমি প্রশস্ত হয়। বুনো বেগুন গাছ আরো বড় হতে পারে। বেগুনের ফুল সাদা হতে গোলাপী বর্ণের হয়। পাঁচটি পাপড়ি থাকে। বেগুনের ফল বেগুনী বা সাদা বর্ণের হয়। ফল অনেকটা লম্বাটে নলাকৃতির হয়ে থাকে। ফলের ভিতরে অনেকগুলো নরম বীজ থাকে।বেশ কিছু জাত আছে যা অনেকটা লম্বাটে নলাকৃতির হয়ে থাকে এবং কিছু জাত আছে যেগুলো অনেক মোটা ও বড় আকৃতি এবং গোল হয়। এছাড়াও গ্রামে কৃষকের বিশেষ কিছু বেগুনের জাত (কাটা বেগুন,বল বেগুন) আছে। জাতগুলোর বৈশিষ্ট হলো গাছ,ডাল, পাতা এবং বেগুনের ফলে অনেক কাটা থাকে যার ফলে কৃষকের এই বিশেষ বেগুনের জাতগুলো জমির আইলে চারপাশে রোপন করলে ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা হয়। বেগুন সারাবছর পাওয়া যায়।বেগুন চাষের জন্য চারা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শীতকালীন বেগুন চাষের জন্য শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হতে আশ্বিন মাস এবং বর্ষাকালীন বেগুন চাষের জন্য চৈত্র মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বালি, কমপোষ্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। সবল চারা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বীজতলায় বীজ বুনতে হয়। গাছ গজানোর ৮-১০ দিন পর চারা তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় রোপণ করতে হয়। এতে চারা স্বাস্থ্যবান হয়। অতিরিক্ত পানিতে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্নায় বেগুনের ফল ব্যবহার করা হয়। বেগুন মধুর, তীক্ষ্ণ ও উষ্ণ হয়। সবচেয়ে বেশি জমিতে চাষ করা হয় পাশাপাশি বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে। বেগুন প্রায় সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে শীত মৌসুমে ফলন বেশি হয়। এ দেশে বহু জাতের স্থানীয় জাতের বেগুন রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত সহ প্রায় সর্বএ বেগুন চাষ করা হয়ে থাকে। বেগুন ঔষধ হিসেবে খাওয়া হয়।