Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
গাছ চিনুন

গাছ চিনুনঃ বিলাতি ধনিয়া

Desk | আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৮
গাছ চিনুনঃ বিলাতি ধনিয়া

বিলাতি ধনিয়া বৈজ্ঞানিক নাম Eryngium foetidium L
পরিবার Umbeliferae

বিলাতি ধনিয়া একটি ক্ষুদ্রাকার দীর্ঘজীবী বীরুত। এর কাণ্ড অস্পষ্ট ও ভূসংলগ্ন৷ কিন্তু ফুল আসার সময় উপরদিকে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং কাণ্ড ফাঁপা হয়ে শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়৷ এই গাছের পাতার দৈর্ঘ্য ১৫-২০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ২-৩ সেন্টিমিটার এবং পত্রফলকের কিনারা সামান্য খাঁজযুক্ত ও অগ্রভাগ ছোট ছোট সূক্ষ্ম কাঁটাযুক্ত হয়৷ এটি একটি ছায়াপ্রিয় উদ্ভিদ৷ ফুল ক্ষুদ্রাকৃতির, বৃন্তবিহীন এবং মঞ্জুরীদণ্ডে ঘন সন্নিবেশিত থাকে৷ বীজ দ্বিবীজপত্রী, অমসৃণ, ক্ষুদ্রাকৃতির, বৃন্তবিহীন এবং মঞ্জুরীদণ্ডে ঘন সন্নিবেশিত থাকে৷
সাধারণত বীজ এবং পার্শ্ব শাখা থেকে এর বংশবিস্তার হয়ে থাকে৷ বিলাতি ধনিয়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল।বিলাতি ধনিয়ার পাতা ও কচি পুষ্পদণ্ড একাধারে সবজি, সালাদ এবং মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়৷ রান্নার কাজে তরকারিতে, ডাল, ভাজি ও নিরামিষে ইহা সুগন্ধি বৃদ্ধি করে৷ সালাদ হিসাবে, অন্যান্য সালাদের সাথে মিশ্রণে, সবজি হিসেবে এবং ভর্তা করেও খাওয়া যায়৷ ইহা ছাড়াও বেসন দিয়ে বিলাতি ধনিয়া পাতার বড়া তৈরিতে, পিয়াজুতে, সিঙ্গারায় এবং ভেজিটেবলে রোলে সুগন্ধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ বিলাতি ধনিয়ার গাছে ফুল ফোটার ৪০ দিনের মধ্যে বীজ পেকে যায়। বেশি পাকতে দিলে বীজ ঝরে যায়।
চারা একটু বড় হলে সরাসরি জমিতে সারিতে ১০-১৫ সে.মি. দূরত্বে লাগাতে হয়। বর্তমানে বিলাতি ধনিয়া বাংলাদেশ ছাড়াও ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে চাষ হচ্ছে।

উপরে