গাছ চিনুনঃ কুম্ভি
কুম্ভি ইংরেজি নাম Slow-match tree, Wild Guava
কুম্ভি বৈজ্ঞানিক নাম Careya arborea
জগৎ Plantae
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Asterids
বর্গ Ericales
পরিবার Lecythidaceae
গণ Careya
প্রজাতি C. arborea
দ্বিপদী নাম Careya arborea Roxb.
কুম্ভি ছোট থেকে মধ্যম আকৃতির প্রচুর ডালপালা বিশিষ্ট পাতাঝরা গাছ। এর বাংলা ও স্থানীয় নাম কুম্ভি, ভাকাম্বা, কুমহি, কাম্বার, কুম্ভিপাতা, বিড়িপাতা, টেন্ডুপাতা, খাত্রাপাতা, গাডিলা বা গাডুলা (ঢাকা-ময়মনসিংহ) বল-ডিম্বেল বা গাম্বেল (গারো) ইত্যাদি। কুম্ভি গাছ উচ্চতায় ১৫ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়। কুম্ভি গাছের গুঁড়ি কাণ্ড আঁকাবাঁকা, বাকল গাঢ় ধূসর বা বাদামি এবং বাকলের উপরিভাগ খাঁজ ও ভাঁজযুক্ত। পাতা সরল, ডিম্বাকার, কিনারা করাতের মতো খাঁজকাটা। ডালপালার অগ্রভাগে পাতাগুলো ঘনবদ্ধভাবে বিন্যস্ত। শীতকালে পাতা ঝরে পড়ার আগে কমলা-লাল রঙের হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে গুচ্ছাকার স্পাইক পুষ্পবিন্যাসে বড় আকারের হলুদ বা সাদা রঙের ফুল ফোটে। ফল বেরী জাতীয়, গোলাকার, ৫.০ থেকে ৭.৫ সেন্টিমিটার ব্যাসযুক্ত, মাংসল ও রসাল, দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতো। ফলের শেষ প্রান্ত পানির কলসের মতো গহ্বরযুক্ত। জুন-জুলাই মাসে ফল পরিপক্ব হয়। প্রতিটি ফলে রয়েছে অসংখ্য বাদামি রঙের বীজ। কুম্ভি বীজ থেকে গাছ জন্মায়। কাঠ হালকা থেকে গাঢ় লাল রঙের এবং মধ্যম শক্ত। কাঠের সংকোচন ক্ষমতা অধিক এবং পানিতে টেকসই। ঘর তৈরির খুঁটি, তক্তা, আসবাবপত্র, কেবিনেট এবং কৃষি সরঞ্জামাদি তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়। বাকল থেকে ট্যানিন ও তামাটে রং পাওয়া যায়। বাকলের আঁশ দিয়ে মোটা দড়ি এবং ব্রাউন পেপার তৈরি করা হয়। কুম্ভি গাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। কুম্ভি গাছ ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।