গাছ চিনুনঃ ঝুমকোলতা
ঝুমকোলতা ইংরেজি নাম Wild water lemon
ঝুমকোলতা বৈজ্ঞানিক নাম Passiflora Incarnata
জগৎ Plantae
শ্রেণীবিহীন Angiosperms, Eudicots, Rosids
বর্গ Malpighiales
পরিবার Passifloraceae
গণ Passiflora
উপগণ Passiflora
প্রজাতি P. foetida
দ্বিপদী নাম Passiflora foetida L.
ঝুমকোলতা এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এ গাছেরপাতা দেখতে হাতের তালুর মতো। পাতায় তিনটি খাঁজ আছে এবং প্রতিটি অংশ দেখতে আঙ্গুল সদৃশ। পাতার অগ্রভাগ সুচালো। পাতার কক্ষ থেকে লতা বের হয়। ফুল একক, সুগন্ধযুক্ত। বাতাসে একটা মৌতাতানো সুবাসিত গন্ধ ছড়ায়। হালকা বেগুনি রঙের পাপড়ি বাইরের দিকে সজ্জিত থাকে। বাহারী ফুল ঝুমকোলতাএ গাছের পাতা ছিড়লে কিছুটা গন্ধ বের হয়। ঝুমকোলতা ফুলটির রঙ সাদা বা ক্রিম অথবা উভয় রঙের মিশ্রণে হয়ে থাকে। তবে সাধারণত বেগুনি রঙের আভায় বর্ণিল হয় ফুলটি। ফুলের ব্যসার্ধ ৫-৬ সেন্টিমিটার। ঝুমকোলতার ফলও হয়। ফলের আকৃতি গোলাকার। ব্যসার্ধ ২-৩ সেন্টিমিটার। পাকার সময় ফলটি হলদে কমলা থেকে লাল রঙ ধারণ করে। ফল বহুবিচিযুক্ত। ফুলটির মঞ্জরিপত্র থেকে এক ধরনের আঠালো পদার্থ নিঃসৃত হয়। এজন্য মঞ্জরিপত্রের সাহায্যে ঝুমকো লতা ক্ষতিকর পোকামাকড়দের ফাঁদে ফেলতে পারে। ফুল ফোটে গ্রীষ্মের শেষভাগে, থাকে বর্ষাকালজুড়ে। এ জন্য বর্ষার ফুল হিসেবেই এর পরিচিত। ঝুমকোলতা ফুলটি একক। লতানো গাছে একটি একটি করে সুগন্ধি ফুল ফোটে। শুকনো জায়গায় টিকে থাকতে পারলেও ভেজা জায়গা মূলত ঝুমকো লতার জন্য উপযোগী। এ গাছের ঔষধিগুণ আছে যা বিভিন্ন প্রকার রোগ-প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা, মেক্সিকো, ক্যারাবিয়ান, সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় জন্মে। দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়া এবং হাওয়াইয়ের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলেও জন্মে ঝুমকোলতা।