Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
বিটরুট

বিটরুট কেনো খাবেন?

Desk | আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫৫
বিটরুট কেনো খাবেন?

বাজার যারা করেন তারা সব সবজি কিনলেও একে একটু এড়িয়েই চলেন। কেউ কেউ তো আবার নাকসিটকান!! শীতের শেষদিকে তিনি বাজারে আসেন।মাটির তলার এই সবজির খ্যাতি তার রঙ এর জন্য।গাড় গোলাপি রঙ যাকে বলা যায় শকিং পিন্ক। ১৯ শতকে রোমানদের হাত ধরে প্রথমবার ইউরোপে শুরু হয় বিটের চাষ। গুনের কথা শুনলে হয়ত আর নাক সিটকাবেন না। সব সবজি বিশেষ গুন সম্পন্ন হলেও শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম বিট। রক্তে লাল কনিকার সংখ্যাই বৃদ্ধি নয় রক্ত থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিয়ে লিভার ঠিক রাখতে সাহায্য করে বিট। আজকের লেখাতে জানাবো তাই আপনাদের কেন খাবেন বিটরুট সে ব্যাপারে কিছু কথা।


আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কেনো খাবেনঃ

(১) বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে বিটরুটে উপস্থিত "বিটেন" নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

(২) প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, বিটেইন, ভিটামিন বি, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এই সবজিটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। কারণ সবকটি উপাদানই নানাভাবে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(৩) রক্তে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিক উপাদান শরীরে থেকে বার করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করে তুলতে বিটের রসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মুখের ক্যানভাসে যদি কালো ছোপ বা ব্রণের দাপাদাপি থাকে, তাহলে আজই বিটের রসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান।

(৪) বাড়ির বাইরে খেতে খেতে পাকস্থলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে বসেছে। ফলে বাড়ছে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ? তাই চিন্তা না করে আজ থেকে এক গ্লাস করে বিটরুটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পাকস্থলি তার হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফিরে পাবে। ফলে হজম ক্ষমতা এমন বেড়ে যাবে যে অম্বল ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

(৬) বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বিটরুট বা বিটের রস খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিন্ডের ভেতরে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবানও কমে। এই কারণেই যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের ৩০-এর পর থেকেই নিয়মিত বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা

(৭) যেভাবে স্ট্রেস আমাদের ঘিরে ধরছে, তাতে রক্তের আর কী দোষ বলুন! রাগে-দুঃখে-হতাশায় সে ফুলে ফেঁপে উঠছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে রক্তচাপ। এমন অবস্থায় রক্তকে ঠান্ডা করতে পারে একমাত্র বিটের রক্তিম রস। আসলে রক্তের মতোই দেখতে এই রসে রয়েছে নাইট্রেস, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(৮) মস্তিষ্কের সোমাটোমটোর কটেক্স অঞ্চলে অক্সিজেনেশানের উন্নতি ঘটানোর মধ্যদিয়ে ব্রেন নিউরোপ্লাস্টিসিটি বাড়াতে বিটের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার মস্তিষ্কের এই বিশেষ অংশটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না।

উপরে