শিমের বিচির স্বাস্থ্য উপকারীতা
অনেকেরই পছন্দের সবজির তালিকায় আছে শিমের নাম। এটি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। শিম, শিমের বিচি এবং শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার প্রোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এনার্জি বা শক্তির জন্য শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট। আর আজকের লেখাতে থাকছে আপনাদের জন্য এই শিমের বিচির স্বাস্থ্য উপকারীতা।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শিমের বিচির স্বাস্থ্য উপকারীতা গুলোঃ
১। ক্যান্সার প্রতিরোধ : কালো শিমের বিচিতে বিপুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৮ ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয় যে শিমের বিচি কোলন ক্যান্সারে সহায়ক কোলন অ্যাডেনোমার বিপরীতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।
২। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য : কালো শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যেটি রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। করোনারি হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া শিমের বিচিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উভয় উপাদানই রয়েছে যা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩। স্বাস্থ্য উপযোগিতা : কালো শিমের বিচি মানবদেহে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্লাইকোজেন সরবরাহ করে। দেহে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখে। এছাড়া হজমে সহায়তা করে। আসুন জেনে নিই এই পুষ্টিকর খাবারটি আর কি ধরনের স্বাস্থ্যোপকার করে থাকে।
৪। চর্বি নিয়ন্ত্রণ :কালো শিমের বিচিতে মোটামুটিভাবে ২-৩ শতাংশ চর্বি রয়েছে তবে কোলেস্টরেল একেবারেই নেই। এটি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং স্বাস্থ্যোপযোগি ফ্যাট প্রদান করে থাকে।
৫। স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য : শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ বা ফোলেট আছে। স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এই উপাদানটির উপরে নির্ভরশীল যেটি শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে কাজ সম্পাদন করে। গর্ভবতী মহিলঅদের জন্য এই খাবারটি অত্যন্ত উপকারী।
এছাড়াও এই পুষ্টিকর খাবারটি শরীরের অন্যান্য উপকারও করে থাকে। ত্বকের জন্য এই খাবার বেশ উপযোগি। কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে কালো শিমের বিচি ওজন কমাতেও সহায়তা করে থাকে।