Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
সর্পগন্ধা উদ্ভিদ

সর্পগন্ধা উদ্ভিদের উপকারীতা

20Fours Desk | আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:৪০
সর্পগন্ধা উদ্ভিদের উপকারীতা

সর্পগন্ধা আমাদের অনেকের পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটি ঔষধি গুনের জন্য বিখ্যাত। অনেকেই একে চন্দ্রা নামে ডেকে থাকে । এর বৈজ্ঞানিক নাম Rauwolfia serpentina। এই উদ্ভিদটি সব জায়গায় জন্মে না। আমাদের দেশের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশ, তামাবিলের জঙ্গল এবং রাঙামাটি, বান্দরবান এলাকায় কিছু কিছু দেখা যায়।এই গাছটি সাধারণত ঝোপ আকারের হয়ে থাকে। গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদটির পাতা ছোট ছোত এবং লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত এর শিকড় ও পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।অনেক প্রাচীন শাস্ত্রে এর গুণের কথা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই সর্পগন্ধা উদ্ভিদের রাসায়ানিক উপাদান এবং এর উপকারীতা সম্পর্কে।

রাসায়ানিক উপাদানঃ

এই গাছে স্টেরল, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড, অলিক এসিড, ফিউমারিক এসিড, গ্লুকোজ, রেজিন, খনিজ লবণ, স্টার্চ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখছে। সর্পগন্ধা মূলে ইনডোল এলকালয়েড রয়েছে যাতে রিসারপিন, ডিসারপিন, রেসিনামিন থাকে। এছাড়াও সর্পগন্ধা থেকে সতেরটি এ্যালকালয়েডস এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত এ্যালকালয়েডস হলো আজমলীন, আজমালিসিন, সাপেন্টাইন, অলিরোসিন ও আনস্যারচুরেটিড এলকোহল ইত্যাদি।

উপকারীতাঃ

১। জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিষেধক হিসেবে সর্পগন্ধা ব্যবহার করা হয়।দৈহিক দূবর্লতা ও মানসিক অবসাদ জনিত রোগেও এর মূলের চুর্ণ ব্যবহৃত হয়।এছাড়াও হাইপারটেনশন, ইনসমোনিয়া, বাতজ্বর এবং ব্যথা-বেদনায় সর্পগন্ধার মূলচূর্ণ অনেক কার্যকরী।

২। বিভিন্ন সরীসৃপ বা পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষত ও জ্বালা পোড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিষেধক হিসেবে সর্পগন্ধা ব্যবহার করা হয়।কথিত আছে যে, বেজি সাপের সাথে যুদ্ধ করার আগে সর্পগন্ধা গাছের মূল ও পাতা চিবিয়ে খেয়ে থাকে, যাতে বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পায়।

৩। এর শিকড় ও পাতার রসে আছে অ্যালকালয়েডস, যা আমাদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মানসিক বিকারগ্রস্ততা, হিস্টেরিয়া রোগ উপশমে সর্পগন্ধার ব্যবহার হয়।দুধের সাথে এর শিকড় চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে হিস্টিরিয়া রোগী সুস্থ হয়ে যাবে ।

৪। সর্পগন্ধা  পাতার নির্যাস চোখের ছানি কাটাতে সাহায্য করে।এছাড়াও এটি পরীক্ষিত সত্য যে, কোন বিষাক্ত পদার্থ কিংবা যে কোন ধরনের বিষক্রিয়া থেকে রক্ষায় সর্পগন্ধা গাছের এ্যালকালয়েডসসমূহ এন্টিডোট হিসেবে কাজ করে।

৫। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ নিরাময়েও এর ঔষধ কার্যকর। বার্ধক্যজনিত রোগও এটি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা রাতে ঘুমানোর আগে ০.২৫ গ্রাম সর্পগন্ধার শিকড়ের গুঁড়া খেতে পারেন।আর যারা ঘুমের ক্ষেত্রে খুব সংবেদনশীল তারা সকালে ও রাতে দুবার খেতে পারেন।

সুত্রঃ উইকিপিডিয়া এবং মেরিয়াম-ওয়েবস্টার ডট কম

উপরে