থানকুনি
থানকুনি একটি লতানো ও বলবীর্য সঞ্চারক গাছ।প্রয়োজনীয় ও গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম Centella বা Indian pennywort । বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক পরিবারের নাম ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবারের উপপরিবার মনে করেন। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়।সমগ্র ভারতেই এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়।থানকুনি পাতা দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ সহ ভারত,সিংহল,উওর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া,পাপুয়া নিউ গিনি, অন্যান্য প্রান্তে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। থানকুনি দুই রকম হয়। একটি বৃহৎপএ যুক্ত এবং অপরটি ক্ষুদ্রপএ -যুক্ত।
চিকিৎসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম।
চলুন থানকুনি পাতার উপকারিতা দেখে নেয়া যাক :
১। যদি আমাশয় পায়খানা বারবার হয় তাহলে থানকুনি পাতার রস অল্প গরম করে নিয়ে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
২। মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতার রস নিয়মিত খেলে মুখের ঘা ভালো হয়।
৩।থানকুনি পাতার রস খেলে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হয়।
৪।থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৫। প্রতিদিন থানকুনি পাতার রস খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।