Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
আনারস

জেনে নিন আনারসের ঔষূধি গুনাগুণ

Desk | আপডেট : ৭ নভেম্বর, ২০১৮ ২৩:২৩
জেনে নিন আনারসের ঔষূধি গুনাগুণ

আনারস বাংলাদেশের একটি পুষ্টিকর ফল। আকর্ষণীয় সুগন্ধ ও অম্লমধুর জন্য এ ফল অনেকের কাছেই সমাদৃত। সৌন্দর্যের জন্য অনেক কবি একে ‘স্বর্ণকুমারী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮০-৯০ জাতের আনারস চাষ করা হয়। বাংলাদেশে হানিকুইন, জায়েন্ট কিউ (কালেঙ্গা) ও ঘোড়াশাল-এই তিন জাতের আনারস চাষ হয়ে থাকে। হানিকুইন জাতের আনারস সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় জন্মে। এর পাকা ফলের খোসা সোনালি-হলুদ, স্বাদে বেশ মিষ্টি ও শাঁস কম আঁশযুক্ত। সিলেট, চট্টগ্রাম ও মধুপুরে জায়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ হয়। এ জাতের আনারসের কাঁচা ফল গাঢ় কালচে-সবুজ, কিন্তু পাকা ফল কমলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অম্লমধুর স্বাদ ও আঁশবিহীন কিন্তু গন্ধযুক্ত। ঘোড়াশাল জাতের আনারস ঢাকা জেলার ঘোড়াশালে জন্মে থাকে। আজকের লেখাতে জানবো  আনারসের ঔষূধি গুনাগুণ।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আনারসের ঔষূধি গুনাগুণঃ

(১) আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া।তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।

(২) আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

(৩) যখন আপনি আনারস খাবেন তখন এটি আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীর কাছে পৌঁছানোর পর এটি অ্যালকোহলে পরিনত হয়। এবং এই কারণে মানুষের দেহে বাতের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই যে সকল মানুষের দেহে বাতের ব্যথা আছে কিংবা সন্দেহ করা হচ্ছে বাত হতে পারে তাদের আনারস না খাওয়াটাই ভালো।

(৪) আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।

(৫) আনারসে আছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়ে থাকে এবং কোন রোগীর প্রয়োজন পরলে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

(৬) রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

তবে  রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাধা প্রদান করে থাকে।

উপরে