তরমুজ
তরমুজ ( Watermelon) এটি একটি লতানো গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus lanatus। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল। শীতকালের শেষ দিকে এর বীজ বসানো হয়। বসন্তকালে এর গাছ বাড়তে থাকে গরমকালে এর ফল পাকে। ঠান্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। কারণ তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। তরমুজের ভেতরের অংশ কাঁচা অবস্থায় সাদা হয় এবং পাকলে লাল হয়। বেলে মাটিতে তরমুজ ভালো হয়। নদীর চরেও তরমুজের চাষ ভালো হয়। উওর ভারতের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে প্রচুর তরমুজ চাষ করা হয়। তরমুজের ফল এবং বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তরমুজ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,গণচীন, তুরস্ক, ইরান, ব্রাজিল, মিশর ,এ চাষ করা হয়।
রাসায়নিক উপাদান :
মিষ্টি স্বাদের তরমুজে খুব সামান্য ক্যালরি আছে। তাই তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে। এই ফলটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড যা শরীরের অনেক উপকার করে।
পুষ্টিগুণ :
তরমুজে রয়েছে অনেক পুষ্টি। এতে রয়েছে ৬% চিনি এবং ৯২% জল এবং অনন্য জিনিস ২%। এটি ভিটামিন এ জাতীয় ফল। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ। তরমুজে রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
উপকারিতা :
১। তরমুজের রয়েছে ভিটামিন-সি, ক্যারোটিন উপাদান যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
২। প্রস্রাব কম হলে তরমুজ খোসা ছাড়িয়ে চিনি ও পানির সাথে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের সমস্যা ভালো হয়।
৩। তরমুজের রস আধকাপ নিয়ে জিরে গুড়ো এবং চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে হৃদরোগ ভালো হয়।
৪। অপুষ্টিজনিত দূর্বলতা দেখা দিলে কাঁচা তরমুজের শাঁস শুকিয়ে গুড়ো করে গরম দুধের সকাল বিকেল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। আধাপাকা তরমুজের রস প্রতিদিন খেলে টাইফয়েট জ্বর ভালো হয়।
৬। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরে আসবে।
৭। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৮। নিয়মিত তরমুজ খেলে অ্যাজমা ভালো হয়।
৯। তরমুজ কিডনি বা বৃক্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই তরমুজ খাওয়া অনেক উপকারী।
১০। তরমুজ প্রোস্টেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক করে। তাই তরমুজ খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।