কুল
কুল এটি একটি ঝোপ জাতীয় বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ziziphus zizyphus। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, সর্বপ্রকার মাটিতেই কুল গাছ জন্মে। এই গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের ঝোপাল প্রকৃতির বৃক্ষ। কুল গাছের স্বাভাবিক উচ্চতা ১২-১৩ মিটার। বৎসরের সেপ্টেম্বরে - অক্টোবরে মৌসুমে গাছে ফুল আসে। ফল ধরে শীতে। ফল গোলাকার, ছোট থেকে মাঝারি। ফল আকারে ছোট, কমবেশী ২.৫ সেন্টিমিটার। ফল পাকলে রঙ হলুদ থেকে লাল বর্ণ হয়। কাচা ও পাকা উভয় পদের বরই খাওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, সর্বপ্রকার মাটিতেই কুল গাছ জন্মে।এছাড়াও ভারত, আফগানিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কুল চাষ করা হয়ে থাকে। এই গাছের ফল, ছাল, বীজ, মূলের ছাল এবং পাতা নানারকম ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
পুষ্টিগুণ :
কুলে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান থাকে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রোগে সারাতে সহায়তা করে।
উপকারিতা :
১। কুল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কারন এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
২। কুল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩। কুলবীজের শুকনো অংশ বাদ দিয়ে গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে প্রদরে উপকার হয়।
৪। পাকা কুল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫। কুলের বীজ বাদ দিয়ে পানির সাথে সেবন করলে হৃদরোগ ভালো হয়।
৬। কুল হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে। ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
৭। কুলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় গঠনে এবং দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
৮। কুল খেলে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল রাখে।