Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
তেজপাতা

তেজপাতা

Desk | আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:৩৬
তেজপাতা

তেজপাতা (Bay laurel,  Bay tree) এটি একটি মাঝারি ধরনের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum tamala, Fr.Nees। এটি Lauraceae গোত্রের বৃক্ষ। গাছগুলো উচ্চাতায় ১৫-১৬ মিটার হয়ে থাকে। এই গাছের পাতা মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা ১৫-২০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৫-৬ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। পাতাগুলো ডালের সাথে আড়াআড়িভাবে থাকে। এর ফুলের রঙ সাদা, ব্যাস প্রায় ১/৪ ইঞ্চি। এর নয়টি পুংকেশরের বাইরে থাকে ৬টি, ভিতরে থাকে তিনটি। এই গাছের ১/২ ইঞ্চি পরিমিত ফল হয়। পাকা ফল হলদেটে-খয়েরি বর্ণের হয়ে থাকে।  সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে এই গাছের ফল সংগ্রহ করা হয় এবং পুরো ফলই বীজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের কাঠের রঙ লাল আভাযুক্ত হয়ে থাকে। এই পাতাগুলি শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়। সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবারে এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। ধারণা করা হয়, এই গাছের আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানে এই গাছ জন্মে। তেজপাতা গাছের পাতা ও ছাল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
    
রাসায়নিক উপাদান:

তেজপাতায় ইউজেনল, আইসো-ইউজেনল, ফিলাড্রিন ও সিনাম্যালডিহাইড সমৃদ্ধ উদ্বায়ী তেল বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।


উপকারিতা:

১। গলে বসে গেলে তেজপাতা থেঁতো করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২। তেজপাতা পানিতে সেদ্ধ করে এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের অরুচি ভাব কেটে যায়।

৩। চোখ উঠলে তেজপাতা গরম পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি চোখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৪। অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রতি দিন ১ বার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধ ঘণ্টা থাকার পর গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। প্রস্রাবের রঙ লালচে হলে তেজপাতা সিদ্ধ করে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬। চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতো করে সিদ্ধ করে ওই জায়গায় লাগালে চর্মরোগ ভালো হয়।

৭। তেজপাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা হলে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি এই মিশ্রণ ব্রণ শুকাতেও সাহায্য করে।

৮। উজ্জ্বল দাঁত পেতে সপ্তাহে কয়েকবার দাঁতে তেজপাতা ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।

৯। তেজপাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি কমে যায়। এবং চুলপড়া বন্ধ হয়।

১০। কিডনির বিভিন্ন প্রদাহ রুখতে তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

উপরে