Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
আতা

আতা

Desk | আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:০৩
আতা

আতা (Custard apple, sugar apple, sweetsop) একটি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Annona squamosa। এটি Annonaceae  পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল। এটি শরিফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। আতা গাছের আকার খুব বড় নয়। তবে উচ্চতায় ৩ থেকে ৫ মিটার। শীতকালে এর পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়, ফুল ধরে। পাতার আকৃতি বল্লমের মতো, অগ্রভাগ সরু। এর ফুল দেখতে কাঁঠালি চাঁপার মতো যার রঙ হালকা সবুজ থেকে সবুজাভ হলুদ হয়ে থাকে।এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ, বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশই খেতে হয়। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাঁচা ফলের বীজ সাদা। বীজ বিষাক্ত। এটি গুচ্ছিত ফল অর্থাৎ একটি মাত্র পুষ্পের মুক্ত গর্ভাশয়গুলো হতে একগুচ্ছ ফল উৎপন্ন হয়। কাঁচা ফল খাওয়া যায় না। বেলে দো-আঁশ মাটিতে আতা গাছ ভাল জন্মে। বীজ থেকে এর চারা করা হয়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল ধরে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফল পেকে যায়। আতা খাওয়া খুবই উপকারী। আতা বাংলাদেশ সহ ভারত, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মে। আতা গাছের ফল,ছাল ও মূল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিগুণঃ

আতায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুন। কারন প্রতি ১০০ গ্রামে আতায় রয়েছে শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম।

উপকারিতাঃ

১। আতা আঁশ জাতীয় খাবার। তাই আতা নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পেটের সমস্যা দূর করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা তারা এই আতা ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন।

২। নিয়মিত আতা খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৩। আতা গাছের মূলের ছালের রস দুধ সহ খেলে আমাশয় ভালো হয়।

৪। আতা ফলে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই আতা খেলে শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখে।

৫। পাকা আতা ফলের শাঁসের রস সকাল ও বিকালে  খেলে রক্তের নিস্তেজ ভাব কেটে যায়।

৬। নিয়মিত আতা খেলে চুল ও ত্বক ভালো থাকে।

৭। পাকা আতা ফলের রস একটু দুধের সাথে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে ধীরে ধীরে পুষ্টি সঞ্চার হয় এবং কৃশতাও দূর হয়।

৮। আতাফল হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

উপরে