দোপাটি
দোপাটি (Balsam) একটি সপুষ্পক বর্ষজীবী বিরুৎ।এর বৈজ্ঞানিক নাম Impatiens balsamina। এটি Balsaminaceae পরিবারের অন্তভূক্ত। দোপাটি প্রায় ৮০ সেমি পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। দোপাটি ফুলের গাছ এ দেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়ীতেই দেখা যায়। ইহার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ এবং এই গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। সব ঋতুতেই এ গাছ জন্মায়। বর্ষায় এটা আকারে বড় ও সুন্দর ফুল দেয়। এই ফুল ৪৫-৬০ সেমি. এর মত হয়। এর কান্ড খুব নরম এবং গাছ বেশ ঝোপালো হয়। এর ফুল সাদা, লাল, বেগুনি, গোলাপি প্রভৃতি রঙের হয়ে থাকে। ফুল সিঙ্গেল ও ডাবল হয়। এই ফুল বর্ডারের জন্য বিশেষ উপযোগী। জুন মাসে বীজ বপন করা হয়।
হালকা উর্বর দো-আঁশ মাটি এ ফুল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ ফুলের জন্য বড় দিন, উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়া আবশ্যক। কিন্তু ক্রমাগত ও দীর্ঘকালীন বৃষ্টিপাতে এ ফুলের ক্ষতি হয়। সমভাবে ব্যাপ্ত ১০০-১২৫ সেমি. বৃষ্টিপাত ও ৩০-৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন মৌসুম ফুলের পক্ষে উপযোগী। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমারে জন্মে। দোপাটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। দোপাটি ছালের ক্বাথ প্রলেপ দিলে শ্বেতী রোগ ভালো হয়।
২। দোপাটি গাছের পাতা সিদ্ধ করে খেলে অর্শ রোগ ভালো হয়।
৩। দোপাটি গাছের মূল সিদ্ধ করে চাল ধোয়া পানির সাথে খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।
৪। দোপাটির পাতা বেটে প্রলেপ দিলে হাত - পায়ের জ্বালা কমে।
৫। দোপাটি মূলের ছাল গুড়ো করে আঠায় ভিজিয়ে সেই ছালের চুরুট বানিয়ে খেলে শ্বাস রোগ ভালো হয়।