Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
পেয়ারা

পেয়ারা

Desk | আপডেট : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৩৩
পেয়ারা

পেয়ারা (Guava) একটি দ্বিবীজপত্রী বহুবর্ষজীবী  উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava। পেয়ারা একরকমের সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল । পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। । তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। পেয়ারাকে ভিটামিন সি এর ব্যাংক বলা যায়। পেয়ারা গাছ মাঝারি আকারের শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট আকৃতির হয়ে থাকে। শীতের সময় পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শেষের দিকে পেয়ারা গাছে নতুন পাতা ও ডগা আসে। সাধারণত বর্ষা ও শীত ঋতুতে গাছে পেয়ারা হয়। তবে শীত অপেক্ষা বর্ষাকালে ফলন একটু বেশি হয়। বর্ষাকালে জলীয়ভাব বেশি থাকায় ফলের মিষ্টতা ও অন্যান্য গুণাগুণ শীতকালের ফলের থেকে অনেকাংশেই কম থাকে। তাছাড়া জলীয়ভাব বেশি থাকায় পাকা ফল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে দাম থাকে কম। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সব জাতের পেয়ারার গুণাগুণ শীতকালে বেড়ে যায়, রোগ ও পোকার আক্রমণও কম থাকে। ফলের আকৃতি এবং রঙ সবদিক থেকেই সুন্দর হওয়ায় এ সময়ে পেয়ারার দামও থাকে বেশি। এসব দিক বিবেচনায় রেখেই বর্ষাকাল বাদে কিভাবে অন্যান্য ঋতুতে অত্যাধিক হারে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা শুরু হয়। অত্যন্ত আশার কথা যে, গবেষকরা আজ এ ব্যাপারে সার্থক হয়েছেন। পেয়ারা গাছে অসময়ে ফলধারণ এখন খুব সহজেই সম্ভব হয়। পেয়ারা বাংলাদেশ, মেক্সিকো, ভারত, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে জন্মে। পেয়ারা সবকিছু ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পুষ্টিগুণ:

পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরা। কারন ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পানি ৮৬.১০ গ্রাম, শক্তি ৫১ কি.ক্যালোরী, প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম, আঁশ ৫.৪ গ্রা. ফসফরাস ২৫ মি.গ্রা. সোডিয়াম ৩ মি.গ্রা. ভিটামিন এ ৭৯২ আই ইউ থাকে। তদুপরি পেয়ারাতে ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩ ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ ও ভিটামিন থাকে। রোগ প্রতিরোধে পেয়ারার অনেক গুণ রয়েছে। পেয়ারার বীজে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ পলিআন-সেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও আঁশ বিদ্যমান।

উপকারিতা:

১। পেয়ারা নিয়মিত খেলে ক্যান্সার এবং মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

২।  পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে  রাখে  তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

৩। পেয়ারা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

৪। অনেকেরই মুখের ভেতর সাদা দাগের মত একটি আলসার দেখা যায়। এমন হলে পেয়ারা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। পেয়ারা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে লড়াই করে। তাই পেয়ারা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৬। পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেলে মাসিককালিন ব্যথা কমে যায়।

৭। কাঁচা পেয়ারা খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হয়।

৮। নিয়মিত কাঁচা পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।

উপরে