Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
গুলঞ্চ

গুলঞ্চ

Desk | আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:০১
গুলঞ্চ

গুলঞ্চ (Guduchi and Giloy) এটি এক প্রকার লতানো গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tinospora sinensis। এই গাছটি অন্য গাছের ওপরে বেয়ে ওঠা লতানো গাছ। তবে অনেক দিনের পুরনো হলে তা লাঠির মত মোটা হয়।  কান্ডের উপরিভাগ খসখসে ফাটল যুক্ত। বিস্কুট রং এর চামড়া। পাতা পানপাতার মত হৃদয় আকৃতির এবং লম্বা বোটা যুক্ত। লম্বা সুতার মত অসংখ্য বায়ুবীয় মূল যা ঝুলন্ত কান্ড থেকে মাটি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই গাছে গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল পাকে। সাধারণত দু রকম গাছ দেখা যায়। যার ডাটায় সাধারণত পদ্ম কাঁটার মত কাঁটা থাকে এবং পাতা কোমল রেশম বস্তের মত তাকে পদ্ম গুলঞ্চ বলে। আর যার পাতা মসৃন ও উজ্জ্বল, স্বাদ সামান্য তেতো, তাকে ঘোড়া গুলঞ্চ বলে।  এই গাছ শ্রীলংকা, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে পাওয়া যায়। এই গাছ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাসায়নিক উপাদান :

এর লতায় রয়েছে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ যেমন জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লোরিন, ক্যালশিয়াম, টাইটানিয়াম, ক্রমিয়াম, আয়রন, কোবাল্ট, নিকেল, কপার, ব্রমিন, ষ্ট্রোনশিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা স্নায়ুবিক শক্তিবৃদ্ধি, হেমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে এবং হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া এ গাছের রস বেশ তেতো বলে এর মধ্যে আছে এন্টি-অকসিডেন্ট, এন্টিহাইপার গ্লাইসেমিক, এন্টি- নিওপ্লাসটিক, এন্টিডোট, এন্টি-প্লাসমোডিক, এন্টি-হাইপারটিক, এন্টি-এলার্জিক, এন্টি-ইনফ্লামেটরি, এন্টিহাইপার লাই পেডেমিয়া, এন্টি-এষ্ট্রেস সমৃদ্ধ গুনাবলী।

পুষ্টিগুণ :

গুলঞ্চে আছে আশঁ (১৫ - ১৯%), প্রোটিন (৩.১%) এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ২৯২.৫৪ ক্যালরি পুষ্টি শক্তি।


উপকারিতা :

১। গুলঞ্চের রস মধুসহ খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।

২। গুলঞ্চের ক্বাথের সঙ্গে পিপুলের গুঁড়ো মধুসহ সেবন করলে পুরনো জ্বর ভালো হয়।

৩। কমলা বা জন্ডিস গুলঞ্চের রস সেবন করলে রোগ নিরাময় হয়।

৪। গুলঞ্চের রস খেয়ে ৩ ঘন্টা পর ঘি দিয়ে ভাত খেলে কুষ্ঠ ভালো হয়।তবে এভাবে ১ মাস খেতে হবে।

৫। গুলঞ্চ রসের সঙ্গে সামান্য গোলমরিচের গুড়ো মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে খেলে হৃদরোগ ভালো হয়।

৬। দূর্বলতায় ভুগলে গুলঞ্চের রস এক মাস খেলে দূর্বলতা ভালো হয়।

৭। খুব বেশি বমি হলে গুলঞ্চ পাতা অল্প থেঁতো করে ঠান্ডা পানির সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।

৮। গুলঞ্চের ক্বাথ রোজ সকালে খেলে বাত ও বাতরক্তে ভালো ফল পাওয়া যায়।

উপরে