আমড়া
আমড়া (Hog Plum) কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Spondias pinnaata Kurz বা Spondias mombin), পরিবার (Anacardiaceae) এর অন্তর্ভূক্ত। আমড়া সুস্বাদু ও সহজপ্রাপ্য একটি দেশি ফল। এই গাছ ২০-৩০ ফুট উঁচু হয়, প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়। এর আচার, চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। ফল আগস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। আমড়া বাংলাদেশ আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়ায় এই গাছটি জন্মে। আমড়ায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমড়া ঔষধি হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক উপাদান :
আমড়ায় রয়েছে পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান ও আয়রন। যার ফলে আমড়া খেলে অনেক সমস্যা দূর হবে।
পুষ্টিগুণ :
আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০%-ই পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় জলীয় অংশ ৮৩.২, খনিজ ০.৬, লৌহ ০.৩৯, আঁশ ০.১, চর্বি ০.১, আমিষ ১.১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম ০.৫৫ শতাংশ।
উপকারিতা :
১। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
২। আমরা খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।
৩। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা রোধ করে।
৪। আমড়া নিয়মিত খেলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আমড়া খেলে কাশি, সর্দি ভালো হয়।
৬। আমড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭। আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় ও ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
৮। আমরা নিয়মিত খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।