কুশ গাছ
কুশ গাছ
কুশ গাছ দেখতে নিটোল গোল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Desmostachy Bipin nata Stapf। এটি Gramineae এর পরিবারভূক্ত। এই গাছের পাতার গায়ে কোন ধার নেই। কুশ গাছ লম্বায় সাধারণত ৬-৮ ফুট হলেও মাটির নীচে চলে যায়় প্রায়় ২০-২৫ ফুট। ফলে গাছগুলির গুচ্ছ মূল মাটির ভিতরকে যেমন আঁকড়ে ধরে, তেমনি মাটির উপরিভাগকেও দৃঢ় করে। কুশ গাছ শুভ কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কুশ গাছ ভারতের উষ্ণ ও শুষ্ক অঞ্চলে পাওয়া গেলেও বিহারের গয়া এবং দারভাঙ্গা জেলার অঞ্চল বিশেষে কোশী নদীর ধার বরাবর প্রচুর জন্মে।বাংলাদেশেও এই গাছ বাংলাদেশেও ভালো জন্মে। নানারকম ঔষধে কুশ গাছের মূল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতা :
১। কুশ গাছের মূল সেদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে পিপাসার সমস্যা ভালো হবে।
২। কুশের মূল চন্দনের মতো করে বেটে আতপচাল ধোয়া পানির সাথে সেবন করলে অর্শ ভালো হয়।
৩। কুশগাছের মূল চন্দনের মতে বেটে ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিলে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
৪। কুশ গাছের মূল সেদ্ধ করে সেই পানি নিয়মিত কয়েকদিন যোনিতে ডুশ দিলে প্রদর ভালো হয়।
৫। কুশের মূল চন্দনের মতো বেটে গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ ভালো হয়।