Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
পাইন গাছ

পাইন গাছ

Desk | আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৪০
পাইন গাছ

পাইন গাছের কথা বললে আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে কোনো শীতপ্রধান দেশের সুদৃশ্য পাইন বনের কথা। শীতের দেশের গাছ বলে আমাদের দেশে যে একেবারেই পাইন গাছ নেই, তা নয়। আমাদের দেশে সফলভাবে পাইন চাষ শুরু হয়েছে প্রায় ৩০ বছর আগে থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অনায়াসেই এ গাছ বড় হয়। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের পাইন বনও চোখে পড়ে। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি গাছ দেখা যায় বিমানবন্দর সড়কের পাশে। তা ছাড়া বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানেও নমুনা হিসেবে কিছু গাছ রোপণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট করে বলতে হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন অন্যতম। কেউ কেউ এ গাছকে বিলেতিঝাউ বা পবনঝাউ বলেও ভুল করেন। এই দুই ধরনের গাছের মধ্যে অবশ্য কিছুটা সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
কাণ্ডের সরল গড়ন ও পাতার সৌন্দর্যের জন্য গাছটি বেশ নান্দনিক। এ কারণেই একসঙ্গে একাধিক গাছের উপস্থিতি চোখের জন্য স্বস্তিদায়ক। পাইন মূলত ক্যারিবীয় অঞ্চলের গাছ। চিরসবুজ এ গাছ ৪৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পাতা সুতার মতো, সরু ও লম্বা। সাধারণত তিনটি পাতা প্রশাখার আগায় গুচ্ছবদ্ধভাবে থাকে। কখনও কখনও এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। এর নগ্নবীজ প্রজাতির উদ্ভিদ বিধায় ডালের আগার মোচায় বীজ উন্মুক্ত থাকে। এ গাছের কাঠ উন্নতমানের। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও মণ্ড তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে সরল গাছ নামে আরেক ধরনের পাইন গাছও দেখা যায়। তবে এরা আকারে কিছুটা ছোট। শীতের তীব্রতা না থাকায় আমাদের দেশের গাছগুলোয় ততটা প্রাণ থাকে না। পাইন গাছের তেল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


উপকারিতাঃ

১। পাইন গাছের তেল চামড়ার সমস্যা ব্রণ, খিঁচুনি, ফোলার রোগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

২। শরীরের অতিরিক্ত তরল পরিত্রাণ পেতে একটি diuretic হিসাবে কাজ করে।

৩। সারা শরীর জুড়ে রক্ত ​​সঞ্চালন উদ্দীপিত করার জন্য তার তেল dilutions ব্যবহার করা হয়।

৪। পাইন গাছের তেল শক্তিশালী এন্টিসেপটিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং এন্টি-ফিঙ্গাল হিসেবে কাজ করে।

৫। শরীরের কোন স্হানে আঘাত পেলে বা পা ফুলে গেলে পাইন গাছের তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬। চর্মরোগের সমস্যা দেখা দিলে পাইন গাছের তেল ক্ষত স্থানে লাগালে চর্মরোগ দ্রুত ভালো হয়।

উপরে