Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
তুঁত

তুঁত

Desk | আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:৩৮
তুঁত

তুঁত (Mulberry) গাছ পাতা ঝরা প্রকৃতির ছোট ধরনের বৃক্ষ। এই গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Morus nigra এবং Morus rubra। পাতা ডিম্বাকার, খসখসে, পাতার প্রান্তভাগ করাতের মত খাঁজ কাটা এবং অগ্রভাগ সূঁচাল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ফল মিলে একটি ফল তৈরি করে, ফল বেরী জাতীয়। এ দেশে তুঁত গাছ প্রচুর ফুল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মৌসুমে এবং ফল পাকে মার্চ-এপ্রিল মৌসুমে। কাঁচা ফলের রং সবুজ, কিন্তু পাকলে টকটকে লাল ও সম্পূর্ণ পাকলে কালচে হয়ে যায়। কাঁচা পাকা ফল যখন গাছে প্রচুর ধরে থাকে তখন তা এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের সৃষ্টি করে। এদেশে সাধারণত শাখা কলম বা শীতকালে ছাঁটাই করা ডাল মাটিতে পুঁতে নতুন গাছ তৈরি করা হয়। তবে বীজ দিয়েও চারা তৈরি করা যায়। তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। এর ফল রসাল এবং সুস্বাদু হলেও বাংলাদেশে তুঁত কখনো ফলের জন্য চাষ করা হয় না। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে তুঁত চাষ করা হয় ফলের জন্য। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ ফল টক নয়, স্বাদে খুব মিষ্টি ও রসালো। মূলত এ প্রজাতির তুঁত ফলের জন্য চাষ করা হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও স্কোয়াশ বা পানীয় তৈরি করা যায়। তুঁত গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 উপকারিতাঃ

১। তুঁত ফল ক্ষতিকারক কিডনি ফাংশন দূর করে এবং কংক্রিটের ঝুঁকি হ্রাস করে।

২। নিয়মিত তুঁত ফল খেলে হৃদযন্ত্রের পেশীকে শক্তিশালী করে, বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৩। তুঁত ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৪। তুঁত ফলের জুস নিয়মিত খেলে ক্লান্তি এবং হতাশা হ্রাস এবং সেইসাথে ভুলে যাওয়া হ্রাস করে।

৫। কোন স্হান পুড়ে গেলে তুঁত গাছের ছাল থেঁতো করে মধু মিশিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।

৬। পাকা তুঁত ফল খেলে খাদ্যের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৭। নিয়মিত পাকা তুঁত ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

৮। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমি ভালো হয়।

৯। তুঁত গাছের পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস খেলে বায়ু ও পিত্তনাশকে উপকার পাওয়া যায়।

১০। কফ বা কাশি হলে তুঁত গাছের পাকা ফল খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

উপরে