Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
বেত গাছ

বেত গাছ

Desk | আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১৬
বেত গাছ

বেত (Calamus) একপ্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Clamus gibbsianus।  এবং অন্যান্য নাম বেতফল, বেওুন, বেথুন, বেতগুটি। চিরসবুজ এই উদ্ভিদটি পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি লম্বা হয়ে থাকে।বেতগাছ জঙ্গলাকীর্ন কাঁটাঝোপ আকারে দেখা যায়। বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও হাওরেরকান্দাতে বেতগাছ জন্মে। বাংলাদেশে ছয় প্রজাতির বেতফল পাওয়া যায়। এদের কান্ড দেখতে চিকন, লম্বা, কাঁটাময় ও খুবই শক্ত এবং শাখাহীন। সরু ও নলাকার কাণ্ড প্রস্থে সাধারণত ৫-১৫ মিলিমিটার। প্রতিটি কাণ্ডের আগা থেকে নতুন পাতা বের হয় ও বেড়ে ওঠে। কাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর নিচের অংশ পোক্ত হতে থাকে। কোনো ধারককে ধরে রাখার জন্য কাঁটাযুক্ত ধারক লতা বের হয়। বেতে ফুল ধরার আগে গাছ থেকে একধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আসে। তখন মৌমাছি, পিঁপড়া, মাছি এই রস খেতে বেত গাছে ভিড় জমায়। এই ফল গোলাকার বা একটু লম্বাটে গোলাকার, ছোট ও কষযুক্ত টকমিষ্টি। এর খোসা শক্ত হলেও ভেতরটা নরম। বীজ শক্ত। কাচা ফল সবুজ ও পাকলে সবুজাভ ঘিয়ে বা সাদা রঙের হয়। এটি থোকায় থোকায় ফলে। প্রতি থোকায় ২০০টি পর্যন্ত ফল হয়। বেতগাছে ফুল আসে অক্টোবর মাসে আর ফল পাকে মার্চ-এপ্রিল মাসে। এটি অপ্রচলিত ফল হলেও অনেকের কাছে খুবই প্রিয়। বেত গাছ বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা ও সুমাত্রা অঞ্চলের বেশি জন্মে। বেত ফল ও মূল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ

১। বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে সেই ক্বাথ  মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে শুক্রতারল্য প্রশমিত হয়।

২। বেত ফলের শাঁস খেলে আমাশয় ভালো হয়।

৩। বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

৪। বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূএ সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।

৫। বেত ফল শুকিয়ে গুড়ো করে তার নস্য নিলে শিরঃপীড়া সেরে যায়।

৬। বেত ফলের রস চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিওশূল দ্রুত ভালো হয়।

৭। বেত গাছের মূল চূর্ণ করে ঘিয়ে ভেজে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুক্রবৃদ্ধি ঘটে।

উপরে