Logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
হাড়জোড়া

হাড়জোড়া

Desk | আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:০০
হাড়জোড়া

হাড়জোড়া( Veldt Grape or Devlis Backbone) এটি বৃহৎ শাখান্বিত বীরৎ সদৃশ আরোহী। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cissus quadrangularis। এটি স্থানবিশেষে হাড়ভাঙা লতা বা হারেঙ্গা নামেও পরিচিত।  হাড়জোড়া Vitales বর্গের Vitaceae পরিবারের Cissus গণের অন্তর্ভুক্ত। লতানো কাণ্ডের টুকরা টুকরা অংশ দেখতে অনেকটা জোড়া দেওয়া হাড়ের মতোই। সরল ও সরু পত্র-পতিমুখ আঁকশিযুক্ত। কাণ্ড রসাল, চার কোনাকার এবং চার পর্বযুক্ত। পত্র সরল, তিন থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, নরম ও রসাল। পত্রবৃন্ত দেড় সেন্টিমিটার লম্বা, উপপত্র জোড়বদ্ধ, প্রশস্ত ডিম্বাকার, সবুজ ও ক্ষণস্থায়ী। মঞ্জরিদণ্ড আড়াই সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফুল চার অংশক, আড়াআড়িভাবে পাঁচ মিলিমিটার ও লালচে রঙের। বৃতি পেয়ালাকার, দল খণ্ডক চারটি, প্রায় দুই মিলিমিটার লম্বা। পুংকেশর চারটি। প্রস্ফুটনকাল সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। ফল গোলাকার, পাকলে লাল ও একবীজী। এই গাছ ঝোপ-জঙ্গলে জন্মে। এই গাছ বাংলাদেশ সহ আফ্রিকা,  আরব, মাদাগাস্কার, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও জাভায় জন্মে। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ

১। হাড়জোড়া হাড়ভাঙায় অত্যন্ত কার্যকর। হাড়জোড়ার ডাঁটা ও পাতা সমপরিমাণ রসুন একসাথে বেটে একটু গরম করে ভাঙা স্থানে কয়দিন পর পর প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।

২। হাড়জোড়ায় oxo steriod নামক একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা ভাঙ্গা হাড় জোরা লাগাতে সাহায্য করে।

৩। হাড়জোড়ার কচি ডাঁটা কুচি কুচি করে কেটে শুকিয়ে গুড়ো করে সকাল বিকেল পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবে উপকার পাওয়া যায়।

৪। হাড়জোড়ার কচি ডাঁটা কুচি কুচি করে কেটে শুকিয়ে গুড়ো করে সকাল বিকেল খেলে শ্বাস রোগ দ্রুত ভালো হয়।

৫। হাড়জোড়ার চূর্ণ ঘিয়ে ভেজে দিনে ২ বার খেলে কৃমি ভালো হয়।

৬। হাড়জোড়ার ডাঁটা চাকা চাকা করে কেটে সরিষার তেলে ভেজে এই তেল কানে দিলে কানের ব্যথা ও কানে পুঁজ হলে দ্রুত ভালো হয়।

৭। হাড়জোড়ার লতা ও পাতার অ্যালকোহলীয় নির্যাস উচ্চ রক্তচাপ রোধক হিসেবে কাজ করে।

উপরে