পলাশ
পলাশ(Parrot tree, Bastard Teak) মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Butea monosperma। এটি Fabaceae পরিবারের সদস্য। তবে পলাশ গাছ তার ফুলের জন্যই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। পলাশ গাছ সর্বোচ্চ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে এ গাছে ফুল ফোটে। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও দেখা যায়। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দার গাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। পলাশ গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়ায় জন্মে। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। নিয়মিত পলাশ গাছের শিকড়ের রস চোখে দিলে চোখের ছানি ও রাতকানা রোগ ভালো হয়।
২। পলাশ গাছের ছাল এবং শুকনো আদা এক সঙ্গে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে হজমের
সমস্যা ভালো হয়।
৩। পলাশ গাছের ছাল গুঁড়ো করে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা, বায়ুবিকার দ্রুত ভালো হয়।
৪। পলাশের ডাল পুড়িয়ে যে ছাই পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে অর্শজনিত রক্তক্ষরণ দূর হয়।
৫। পলাশ বীজ গুঁড়ো ও মধুর মিশ্রণ শরীরের যে অংশে গাঁটে ব্যথা হয় তাতে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৬। পলাশ বীজ গুঁড়ো করে আখের গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেলে যেকোন মূত্রজনিত সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।