কসমস ফুল
কসমস একটি মাঝারি আকৃতির Herbaceous উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus। কসমস গাছ ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। গোলাপি, সাদা, বেগুনিসহ বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। পাতার কিনারগুলো খাঁজকাটা থাকে। এটি ফুল দেয়া শুরু করে ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ছায়াযুক্ত জায়গায় জন্মায়। শীতকালে বাজারে এ ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। কসমস ফুল ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শীতের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত ফুল ফোটে। কসমস প্রজাতির মধ্যে বর্ষাতি কসমস অন্যতম।
কসমসের বীজ দ্রুত ছড়ায় এবং খুব কম সময়ের মাঝেই আশেপাশের এলাকা দখল করে ফেলতে পারে। মাটিতে বীজ পড়লেই এটা জন্মানো শুরু করে। হালকা আর্দ্রতায় ৭ থেকে ১০ দিনের মাঝে এর অঙ্কুরোদগম ঘটে। তবে বহুবর্ষজীবী কসমস জন্মায় রাইজোম (এক ধরণের বিশেষায়িত মূল) থেকে। কসমসের বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। শীতের শেষের দিকে কিছু ফুল গাছেই শুকিয়ে যেতে দিন। পরে ডাল সহ কেটে উল্টো করে ঝুলিয়ে শুকাতে দিন। কসমস ফুল বাংলাদেশ সহ ভারতে জন্মে।
উপকারিতাঃ
১। কসমস গাছের পাতা নিয়ে থেঁতো করে পানিতে মিশিয়ে চিনি মিশিয়ে সকাল-বিকেল খেলে প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণা কমে।
২। কসমস গাছের পাতা বেটে ফোড়ার ওপর প্রলেপ দিলে বিষফোড়া দ্রুত ভালো হয়।
৩। কসমস গাছের পাতা থেঁতো করে অল্প পানিতে দইয়ের মতো হলে গায়ে মাখলে চুলকানি ভালো হয়।
৪। কসমস গাছের মূল বেটে ঘিয়ের সাথে গরম করে জিভে লাগালে জিভের ক্ষত ভালো হয়।