কুসুম ফুল
কুসুম( Safflower) একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carthamus tinctorius L.। এই গাছ ১ - ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা- হলুদ রং এর ফুলগুলি প্রায় ১ থেকে ১১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। কুসুম গাছ দুই ধরনের। একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো ধরনের। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনাআপনিই জন্মে। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায়। কুসুম ফুল বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মায়। এই গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে কুসুম ফুলের নির্যাস গরম পানিতে দিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
২। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়।
৩। কুসুম ফুল চূর্ণ করে গরম পানি দিয়ে সেবন করলে জন্ডিসে উপকার পাওয়া যায়।
৪। কুসুম বীজের তেল খোসপাঁচড়ায় ব্যবহার করলে দ্রুত ভালো হয়।
৫। পক্ষাঘাতে কুসুম বীজের তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৬। কুসুম তেল মালিশ করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়।