Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
চন্দ্রপ্রভা

চন্দ্রপ্রভা

Desk | আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:২৫
চন্দ্রপ্রভা

চন্দ্রপ্রভা বা সোনাপাতি (Yellow bells, Yellow trumpet বা Yellow-Elder) এটি চিরসবুজ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tecoma stans।  এটি  বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি দেখতে ঝোপালো আকৃতির হয়। সাধারণত চন্দ্রপ্রভা গাছ চার মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে আলো-বাতাসের প্রাপ্যতা, মাটির গুণাগুণ ও স্থানভেদে এর কম বা বেশিও হতে পারে। এই বৃক্ষের মাথা কিছুটা ছড়ানো থাকে। পাতা সবুজ ও কিনার খাঁজকাটা থাকে।
গাছের ডালের আগাতে থোকায় থোকায় হলুদ রঙের ফুল ফোটে। চন্দ্রপ্রভা ফুল দেখতে ফানেল (চুঙ্গি) বা ঘন্টা আকৃতির। এটি ৩-৪ সেমি পর্যন্ত চওড়া হয়ে থাকে। এর পাতা যৌগিক, আট থেকে পনেরো সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুল বড় বড় থোকায় ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে থাকে। হলদে চন্দ্রপ্রভার বীজ ছোট আকৃতির। বীজ বা ডাল থেকে তৈরি কলমের মাধ্যমে এর বংশবৃদ্ধি করা যায়। এর জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বড় উঠোন বা পাকা ঘরের ছাদেও বড় আকারের টবে লাগানো যায়। বাংলাদেশে চন্দ্রপ্রভা গ্রীষ্ম-বর্ষা ও শরৎ-হেমন্তে ফুটলেও কিছু কিছু গাছে বছরের অন্যান্য সময়েও হঠাৎ দু'একটি ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই ফুলগাছ দ্রুত বাড়ে। এই ফুলের মৌমাছি ও কীটপতঙ্গ আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রচুর। এই গাছের ভেষজ গুনাগুন রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। চন্দ্রপ্রভা ফুল চূর্ণ করে ক্ষতে লাগালে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

২। চন্দ্রপ্রভার মূল ও পাতা একসাথে সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সকাল বিকেল খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা ভালো হয়।

৩। চন্দ্রপ্রভার পাতা এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৪। চন্দ্রপ্রভার গাছের মূল সিদ্ধ করে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।

উপরে