Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
চোরকাঁটা

চোরকাঁটা

Desk | আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৯ ১৫:২১
চোরকাঁটা

চোরকাঁটা( Lesser spear grass) মূলত বর্ষজীবী তৃণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chrysopogon aciculatus।   এর স্থানীয় নাম ভাটুই বা চোরকাঁটা। পুষ্পদন্ড প্রায় ৩০ সেমি লম্বা। রাস্তার ধারে বা উঁচু জমিতে জন্মে। বর্ষাকালে ফুল ফোটে। পুষ্পদন্ড প্রায় ৩০ সেমি লম্বা।কাণ্ড ও ডালপালা সাদাটে সবুজ। চ্যাপ্টা আকৃতির। কাণ্ড বা ডালপালার বেড় ১-২ মিলিমিটার মাত্র। কাণ্ড ও শাখা প্রশাখার ভারে আধা ইঞ্চি দূরত্বে একটা করে গিঁট বের হয়। গিঁটের গোড়া থেকে একটা করে বের হয় লম্বা পাতা। কাণ্ডের গায়ে পাতার বোঁটা শাড়ির মতো পেঁচিয়ে থাকে। পাতা সবুজ রংয়ের। লম্বা। দৈর্ঘ্য ১-৩ ইঞ্চি। প্রস্থ ২ মিলিমিটার। একটা মধ্য-শিরা দৈর্ঘ্য বরাবর পাতাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। পাতা খুবই পাতলা। কাণ্ড ও শাখা প্রশাখা রসালো।  ঘাসের উপর দিয়ে চলাচলের সময় মানুষের কাপড়ের সংস্পর্শে আসলে কাপড়ে বিধে যায়। চোরকাঁটা মূলত ফল। ধান ও গমের মতো আকার দেখা যায় চোরকাঁটার। তারপর ফলের গায়ে ছোট ছোট সাদা সাদা ফুল বের হয়। ফুল খুবই ক্ষুদ্র। ফুলের আকার আকৃতি পরিমাপ করা কঠিনতম কাজ। ফুলের পরাগায়নের ওপর নির্ভর করে ফল পুষ্ট না অপুষ্ট হবে। ঠিক ধান ও গমের মতো। ফুলের তুলনায় ফল বেশ বড়। লম্বাটে। বাদামি রংয়ের। ফলের আগার দিকে তীক্ষ শুঁঙ্গ থাকে। এ কারণেই ফলটা কাঁটার আকৃতি পায়। ফলের ভেতরে ধানের চালের মতো বিচি থাকে। তবে বিচি চালের থেকে অনেক ছোট চিকন এবং লম্বাটে। বিচি এক বীজপত্রি।
বর্ষার শুরুতে এদের মঞ্জুরি বড় হতে শুরু করে। শরৎতের শেষ পর্যন্ত চোরকাঁটার ফুল-ফল বীজের কার্যক্রম চলে। চোরকাঁটার ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলে এই গাছ জন্মে থাকে।

উপকারিতাঃ

১। ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় চোরকাঁটা গাছের পাতা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

২।  চোরকাঁটা গাছের মূল সেদ্ধ করে সকাল বিকেল সেবন করলে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়।

৩। চোরকাঁটা গাছের পাতা সিন্ধ করে খেলে শোথরোগ দ্রুত ভালো হয়।

৪। মূএগ্রন্থির প্রদাহ দেখা দিলে চোরকাঁটা গাছের মূল সিদ্ধ করে চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৫। কলেরা রোগ হলে চোরকাঁটা পাতা ভেজানো পানি খেলে কলেরা রোগ দ্রুত ভালো হয়।

উপরে