Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
কলাবতী

কলাবতী

Desk | আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৯ ১৪:৪০
কলাবতী

কলাবতী বা সর্বজয়া (saka siri, Indian shot, canna)  একটি কন্দ জাতীয় বহুবর্ষজীবী, একবীজপত্রী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Canna indica। এটি Cannaceae পরিবারের উদ্ভিদ।গাছ উচ্চতায় প্রায় ৩ থেকে ৫ ফুট হয়ে থাকে। কলাবতীর পাতা বেশ বড় ও পুরু, মধ্যশিরা স্পষ্ট, অগ্রভাগ সূচালো, কলাপাতা সাদৃশ্য। এ ফুলগাছ শীতে মারা যায় এবং বসন্তের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে কন্দ হতে নতুন করে চারা গাছ গজায়। সাধারণত কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়। বাগানে একবার কন্দ বা চারা রোপণ করা হলে চারা ও গাছের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ঝোপালো আকার ধারণ করে। কলাবতী ফুলগাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু। রোগ, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ একেবারেই কম। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কলাবতী ফুলগাছ জন্মে। অনুর্বর, আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে ও হালকা ছায়াযুক্ত স্থানেও এ ফুলগাছ ভালো বাড়তি হয়। তা ছাড়া কম পরিচর্যাতে এরা বেড়ে উঠতে পারে। কলাবতী ফুল ফোটার মৌসুম গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে হেমন্তকাল পর্যন্ত। অর্থাৎ শীতকাল বাদে প্রায় সারা বছর কলাবতী ফোটে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি ফুল দেখা যায়। এই গাছ বাংলাদেশের সর্বত্র জন্মায়। কলাবতী গাছের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।


উপকারিতাঃ

১।  কলাবতীর বীজ পিষে ঘায়ে লাগালে ঘা দ্রুত ভালো হয়।

২। কলাবতীর বীজ সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে শরীরে শক্তি বাড়ে এছাড়াও দুর্বলতা কেটে যায়।

৩। শরীরের কোন স্হানে ব্যথা হলে কলাবতীর মূল পিষে লাগালে ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।

৪। আমাশয় হলে কলাবতীর গাছের মূল সিদ্ধ করে ছাগলের দুধের সাথে এই ক্বাথ সেবন করলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।

উপরে