তাম্রচূড়া
তাম্রচূড়া খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া একটি জংলি গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Blumea lacera। এটি হচ্ছে ১৮৩৪ সালে বর্ণিত Asteraceae বা সূর্যমুখী পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এই গাছ কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পুরো শরীর ও পাতা এক প্রকার নরম লোমশ আবরণে ঢাকা। পাতাগুলো একটু চাপ দিলে এর থেকে নিঃসরিত রসে বেশ কটু গন্ধ আছে। এদের হলুদ ফুল গুচ্ছগুলো কিছুদিন পরে ছাই বর্ণ ধারণ করে এবং ফুল গুলো তুলার মত হয়ে উরে যাবার জন্য প্রস্তুত হয় তখন দেখলে মনে হবে যেনো পাকা চুলের মাথা একটা। এই অবাঞ্ছিত আগাছার নাম সন্ধানে বেশ বিব্রত হতে হয় আঞ্চলিক ভাবে একে কুকুর মুতা,কুকুর শুঙ্গ,জংলি মুলী এই ধরনের নামে ডাকা হয়। তাম্রচূড়া বাংলাদেশ ও ভারতে জন্মে। এই গাছের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।
উপকারিতাঃ
১। তাম্রচূড়া গাছের পাতা রস করে খেলে জ্বর ভালো হয়।
২। মুখে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে তাম্রচূড়া গাছের মূল থেঁতো করে এই রস হলকা গরম করে সেবন করলে ব্যথা ভালো হয়।
৩। আমাশয় সমস্যা দেখা দিলে তাম্রচূড়া গাছের পাতা ও মূল থেঁতো করে এই রস হলকা গরম করে ছাগলের দুধের সাথে সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়।
৪। বাতের ব্যথা হলে তাম্রচূড়া গাছের পাতা থেঁতো করে হালকা গরম করে মালিশ করলে ব্যথা কমে যায়।