মুচকুন্দ
মুচকুন্দ দীর্ঘাকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Pterospermum acerifolium। এটি Stercuculiaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
বাকল ধূসর ও মসৃণ। পাতা বেশ বড়, আয়তনে অনেকটা সেগুন পাতার মতো গোলাকার। পাতার আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- পাতার একপিঠ উজ্জ্বল সবুজ ও মসৃণ আর অন্যপিঠ রুক্ষ-রোমশ ও সাদাটে ধূসর। ফুল ফোটার মৌসুম বসন্ত থেকে পুরো বর্ষাজুড়ে। ফুলের কলি আঙুলাকৃতির, দীর্ঘ গোলাকার ও বাদামি-হলুদ রঙের। প্রস্ফুটিত মুচকুন্দের ৫টি মুক্ত বৃত্তাংশ মাংসল ও রোমশ। শুকনো ফুলের গন্ধও অনেকদিন অটুট থাকে। পাপড়ির রঙ দুধসাদা, বেশ কোমল ও ফিতা-আকৃতির। পরাগচক্র সোনালি সাদা, একগুচ্ছ রেশমি সুতার মতো নমনীয় ও উজ্জ্বল। ফুল ঝরে পড়ার পরপরই আসে ফল। ফল ডিম্বাকৃতির, আকারে কিছুটা বড় ও শক্ত ধরনের। মুচকুন্দের কাঠও কিন্তু ফেলনা নয়, দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য খ্যাতি আছে।এই গাছ বাংলাদেশ, ভারতে জন্মে। মুচকুন্দ গাছের পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
১। হাত-পা জ্বালাপোড়ায় মানুষ পাতার ডগা ভিজিয়ে রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। মুচকুন্দ গাছের বাকল ও পাতা বসন্ত রোগের মহৌষধ।
৩। পোকামাকড় কামড় দিলে মুচকুন্দ গাছের পাতার রস লাগালে ব্যথা ভালো হয়।
৪। মুচকুন্দ গাছের পাতার রস ছাগলের দুধের সাথে সাথে গরম করে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।
৫। শরীরে চর্মরোগ দেখা দিলে মুচকুন্দ গাছের বাকল থেঁতো করে পানিতে গরম করে সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে চর্মরোগ ভালো হয়।