Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
কন্টিকারি

কন্টিকারি

Desk | আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২০ ১২:৪৭
কন্টিকারি

কন্টিকারি কন্টকময় গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum virginianum।কন্টকারী ডালপালা , কাণ্ড এবং পাতা সহ কন্টকময় গুলাজাতীয় উদ্ভিদ লতানো গাছের মতাে মাটিতে ছড়িয়ে থাকে ডাটা ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং পর্যন্ত চওড়া ৩ ইঞ্চি হয় কিছুটা ডিম্বাকৃতি দেখায়। পাতার স্থানে স্থানে অস্পষ্ট লােমযুক্ত থাকে পুরাে গাছে খাড়াভাবে ধারালাে কাঁটা থাকে এবং আধা ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় । পুষ্পদও শাখা  প্রশাখাবিশিষ্ট । ফুলের রং সাদা ও নীল ফল পীতবর্ণ বা সাদা আভাযুক্ত সবুজ বর্ণের হয় । ফলের আকার খুবই ছােট , অনেকটা বেগুনের মতাে দেখায় । ফলের গায়ে সাদা লম্বা লম্বা দাগ থাকে । ফল পাকলে লাল ও হলুদ বর্ণের হয় । গরম পড়ার প্রথম দিকে গাছে ফুল ফোটে এবং পরে ফল ধরে । ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে । বর্ষার পানি পেলে গাছ মরে যায় । আরও এক ধরণের কন্টকারী গাছ আছে , যার ফুল দেখতে নীল এ কন্টকারী খুব কম দেখা যায়। কন্টিকারি গাছ বাংলাদেশ সহ সৌদি আরব, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ইরান, চিন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় জন্মে। কন্টিকারি গাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। চোখ থেকে পানি পড়লে , কন্টকারীর ফুল ও ফুলের গােটা কুড়ি নিয়ে , পানির সাথে পরিমান মতো  খাবার লবন মিশিয়ে , সে পানিতে কুঁড়ি ও ফুল ভালভাবে রগড়ে নিতে হবে । এরপর সেই পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে চোখে দিলে আরাম পাবেন।

২। টনসিলের ব্যথা ও কাশি হলে ঠাণ্ডা লাগলে বা শীতের সময় সামান্য অনিয়ম হলেই টনসিল বেড়ে যায় ফলে কাশিতে খুবই কষ্ট হয় এজন্য  কন্টকারী পাতা ও ডাল নিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে প্রতিদিন সকাল  সন্ধ্যায় খাওয়ার আগে আধা চামচ পিপুলের গুঁড়াে মিশিয়ে খেতে হবে ।

৩। গলায় শ্লেষ্ম - ঘা  হলে কাঁচা কন্টকারী ফলের রস গলার ঘায়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৪।  বাগী রােগে কন্টকারী ফলের বীজ বেটে প্রলেপ দিলে বাগী তাড়াতাড়ি ফাটে ও রক্ত -পুঁজ বেরিয়ে যায় ।

৫।  কাশি ও জ্বর হলে কন্টকারীর মুলের রস বেটে  দু ' চামচ পরিমাণ দিনে দু ' বার করে খেলে , বুকে জমা শ্লেষ্মা কাশির সঙ্গে উঠে আসবে কাশি কমে যাবে এবং বুকের বেদনা আরাম পাবে অর্থাৎ কাশতে গেলে বুকে যে বেদনা হয় , তাও ভাল হয়ে যাবে।

৬। বাত ও আঘাতের যন্ত্রণা ও শরীরের কোন স্থানে আঘাত লেগে ফুলে গেলে যদি যন্ত্রনা হয় , তবে কন্টকারীর পাতাকে কয়েকটি গােলমরিচের সঙ্গে পিষে ফোলা জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যায় এছাড়াও একইভাবে বাতের যন্ত্রণাতেও উপকার পাওয়া যায় ।

৭। পেটে বায়ু বৃদ্ধি হলে কন্টকারীর কচি ডাল বেটে তার দু ' চামচ রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। ।

৮। বসন্ত রােগ দেখা দিলে কন্টকারী গাছের শেকড় গােলমরিচের সাথে সামান্য পানি দিয়ে বেটে তার রস সকালে তিন দিন খেলে শরীরে বসন্তরােগের প্রতিরােধ শক্তি গড়ে ওঠে ।

৯। বাহ্যিক ত্বকের ক্ষতে কন্টিকারীর গাছ দিয়ে বানানো তেল নিয়মিত লাগালে ক্ষত সেরে যাবে

১০। অনেক সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে দুই আঙুলের ফাঁকে ক্ষত সৃষ্টি হয়। কন্টিকারীর তেল নিয়মিত লাগালে ভালো হয়ে যাবে।

১১। গেটেবাত থাকলে কন্টিকারী পাতা ও সমপরিমাণ শজিনা গাছের ডাল বেটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে গিঁটেবাতের যন্ত্রণা কমবে।

১২।  ফোঁড়া পাকতে বিলম্ব হলে সাদা কন্টিকারীর বীজ শিলে বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেঁকে যায়।

উপরে