Logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
আপাং গাছ

আপাং গাছ

| আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০২০ ১১:৫০
আপাং গাছ

আপাং ( Apang, Prickly chaff flower) একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।  এর বৈজ্ঞানিক নাম Achyranthes aspera. নিতান্তই সাদামাটা ধরনের গাছ আপাং।এই গাছ ১মিটারের মতো উঁচু হয়। শাখা প্রশাখা চারদিকে ছড়ানো থাকে।  মূলে ভেষজ গুণ বিদ্যমান। কান্ডের অগ্রভাগে বড় বাঁকানো কাটাময় ফুল ফোটে। বাংলাদেশের সর্বত্র আপাং গাছ জন্মে। এই গাছের সম্পূর্ণ অংশ ঔষধি গুণে ভরা।


 উপকারিতাঃ

১। শরীরের কোন অংশ কেঁটে রক্তক্ষরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে আপাং পাতার রস ওই স্থানে লাগালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে।

২। আপাং গাছ আধা ছেচে নিয়ে এর সঙ্গে সমপরিমাণ কালমেঘ মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে এক কাপ করতে হবে। এরপর ছেঁকে ওই পানি পান করলে শোথ রোগে উপকার পাওয়া যায়।

৩। খোসপাঁচড়া ও চুলকানিতে পুরো  গাছ আধা ছেচা করে সমপরিমাণ চিরতা ও নিম ছাল মিশিয়  পানিতে জ্বাল দিয়ে ওই পানি ছেঁকে নিয়ে নির্যাসটুকু সেবন করতে হবে।

৪। আপাং গাছের সম্পূর্ন অংশ মিহি গুড়া করে এক গ্লাস ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু তিনবার পান করলে মূত্র সংক্রমণ ভালো হয়ে যায়।

৫। শরীরের বহুদিনের ব্যথা , বাতজ্বর, ফোড়া, চামড়া ফাটা, চামড়ার চুলকানি, ক্ষুধামান্দ্য, পেটের শূলবেদনায় আপাংগাছের পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৬। দাঁতের ব্যথায় আপাং গাছ থেঁতো করে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

৭। আপাং গাছের শুকনো গুঁড়া কুষ্ঠরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।

৮। আপাংগাছের পাতা খেলে গনোরিয়া ও শ্বাসকষ্ট ভালো হয়।

৯। আপাং পাতার রস পোকার কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে শ্বাসকষ্ট কান ও চোখের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।

১০। আপাং বীজের গুঁড়া মাখন ও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তে পাথর হয় না।

উপরে