Logo
ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
শ্বেত শিমুল

শ্বেত শিমুল

Desk | আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২০ ১২:৪৩
শ্বেত শিমুল

কার্পাস বা শ্বেত শিমুল (White Silk Cotton Tree)। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Ceiba pentandra Gaertn, Syn. Bombax pentandrum Linn.
বিশাল আকৃতির গাছ। সাধারণত ২০ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। কাণ্ড সরল, শাখা কিছুদূর পরপর লম্বাভাবে চারদিকে ছড়িয়ে বের হয়। কাণ্ড বা শাখার উপরের দিকের বাকল/ছাল সবুজ তবে গোড়ার বাকল ধূসর বর্ণের। ডালে কখনো কখনো কাঁটা দেখা যায়, তবে শিমুলের তুলনায় কম। ডালের অগ্রভাগ থেকে গুচ্ছকারে হাতের আঙুলের ন্যায় চারদিকে ৫/৭টি পাতা বের হয়। শীতকালে পাতা ঝরে যায়। তখন ডারের অগ্রভাগ থেকে ২/৩টি পাপড়িযুক্ত শ্বেত বর্ণের ফুল বের হয়। ফুল ঝরে গেলে মার্চ- এপ্রিলে ফল আসে, তখন পাতা আসে। ফল লম্বায় ১০-২০ সে.মি. হয়, এটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে ধূসর বর্ণ ধারণ করে। ফলের মধ্যে একাধিক তুলবৃত কালো কালো বীজ থাকে। গাছ থেকে এক ধরনের উজ্জ্বল আঠা বের হয়, একে হাতিয়ান গাঁদ বলে। সাদা শিমুল সাধারণত ৪/৫ বছরে ফল দিতে শুরু করে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলে এই গাছ জন্মে।  এই গাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।

১। অনেক শিশু বেশ বড় হলেও বিছানায় প্রস্রাব করে। এক্ষেত্রে শ্বেত শিমুলের ছালের গুঁড়া মধুসহ সকাল-বিকাল দু’বার মাসখানেক খাওয়ালে এটি বন্ধ হবে।

২। বয়স বা অন্য কোনো কারণে শারীরিক দুর্বলতায় শ্বেত শিমুলের ছালের গুঁড়া দুধসহ সকাল-বিকাল দু’বার করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। শরীর মন দুর্বল ও অবসন্ন হয়ে পড়েছে। এজন্য শ্বেত শিমুল গাছের শিকড় নিয়ে ধুয়ে পানিসহ বেটে সাথে এক কাপ দুধ ও অল্প চিনি মিশিয়ে সকাল-বিকাল দু’বার মাসখানেক খেলে উপকার হয়।

৪। শ্বেত শিমুল মূল মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে সে কারণে গরমে বা অত্যাধিক শুক্রক্ষয়ের কারণে মূত্রকৃচ্ছ্র হলে শিমুলের মূল গুঁড়া করে খেলে উপকার পাবেন।

উপরে