জেনে নিন কি কি খাওয়া ভালো থাইরয়েডের রোগীদের জন্য
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারণত দুই ধরণের সমস্যা দেখা যায়, গঠনগত ও কার্যগত। কার্যগত সমস্যা দুই রকমের হয়ে থাকে তা হল হাইপারথাইরয়ডিজম ও হাইপোথাইরয়ডিজম। হাইপারথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে ও হাইপোথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করেনা। থাইরয়েড শরীরে বেড়ে গেলে বা কমে গেলে ওজন বেড়ে যায়। আবার কখনো ওজন কমে যায় আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন, কপার জাতীয় খাবার বেশি করে নিজের ডায়েটে রাখুন। এই প্রত্যেকটি উপাদান থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আজকের লেখাতে থাকছে থাইরয়েডের রোগীদের জন্য যা যা খাওয়া ভালো সেই খাবার গুলো।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি কি খাওয়া ভালো থাইরয়েডের রোগীদের জন্যঃ
(১) ব্রাউন রাইস বা লাল চালের ভাতে থাকে কার্বোহাইড্রেট। যা থাইরয়েডের সমস্যায় মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অনেক সময় হজম ঠিক মত হয় না খাবার। এ ভাত হজম হয়ে যায় সহজে। পাশাপাশি হজমের সমস্যা কমায়। তাই সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাত খাওয়ার। চেষ্টা করুন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রাউন রাইস গেলে তা খান থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে।
(২) দই স্থাস্থের জন্য উপকারি এটা সবার জানা। দইয়ে থাকা ভিটামিন ডি থাইরয়ের বাড়া কমাকে নিয়ন্ত্রন করতে প্রয়োজন হয়। ভিটামিন ডি’র অভাব হলে শরীরে অন্য সমস্যার পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই যাদের থাইরয়েড আছে তারা রোজ ৫০ গ্রাম মত টক দই খেতে পারেন।
(৩) ডিমের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু লেখার নেই। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ডিমের থেকে ভালো বন্ধু আর কিছু হয় না। ডিমে থাকা নানা পুষ্টিকর উপাদান থাইরয়েডের সমস্যার সাথে অনায়াসে মোকাবিলা করতে পারে। তাছাড়া আরও হাজার একটা সমস্যার সহজ সমাধান ডিম। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়া বাঞ্ছনীয়। ভাজা নয়।
(৪) নারকেল বা নারকেলের দুধ অনেক দিন আগে থেকেই থাইরয়েডের কার্যকরী উপাদান হিসেবে পরিচিত। থাইরয়েডের গ্রন্থিকে কার্যকরী রাখে। সঠিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করে। ফলে শরীরে থাইরয়েডের ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
(৫) যেকোনো ছোট মাছ খাওয়া উচিত থাইরয়েডের রোগীদের। তবে স্যামন মাছ বেশি কার্যকরী থাইরয়েডের ক্ষেত্রে। আমাদের এখানে এই মাছটি খুব একটা বিশেষ পাওয়া যায় না।
এছাড়াও থাইরয়েডের সাথে মোকাবিলা করতে শরীরে প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় কপার ও আয়োডিন। তাই যে সব খাবারে কপার, আয়োডিন বেশি মাত্রায় আছে সেইসব খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। সবুজ শাক-সবজি, আঁশওয়ালা মাছ, কাজুবাদাম, ক্যাপ্সিকাম, বিন্স, মেথি শাক ইত্যাদি।