প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে ডালিম
আমাদের শরীরকে সুস্থ্য এবং সচল রাখতে ভিটামিনের কোনো বিকল্প নেই। ভিটামিনকে বলা হয়ে থাকে খাদ্যপ্রাণ যা আমাদের পুষ্টি সাধনে, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে এবং প্রজননে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে। এটি খাদ্যের একটি উপাদান, যা শরীরের ভেতরে তৈরি হয় না। এটি আমাদের খাবার গ্রহনের মাধ্যেমে শরীরে প্রবেশ করে। আমরা অনেকেই মনে করি ভিটামিন আমাদের শরীরে শক্তি জোগায় এবং ভিটামিন খেলে আমাদের দুর্বলতা কমে যায় বা স্বাস্থ্য ভালো হয়। এটি আসলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণাটা। ভিটামিন থেকে আমাদের শরীরে সরাসরি কোনো শক্তি উৎপন্ন হয় না। আসলে ভিটামিন বিভিন্ন প্রকার খাদ্য উপাদান যা শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাবারের বিপাক-প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। আর এর ফলেই আমাদের দেহ প্রয়োজনীয় শক্তি লাভ করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের মাধ্যমে আমরা ভিটামিন লাভ করতে পারি। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো ভুমিকা রাখতে পারে ডালিম। ডালিম আমাদের শরীরের প্রয়জনীয় সব ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাহলে আসুন তবে জেনে নিই কিভাবে ডালিম আমাদের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
যেভাবে ডালিম ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করেঃ
আমাদের শরীরকে সচল এবং সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিনগুলির প্রয়োজন পরে প্রতিদিন, তার প্রায় সবকটিরই মেলে ডালিমে। ডালিমে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই,কে। ভিটামিন এ আমাদের দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের চোখের জন্য। এই ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। ভিটামিন বি কার্বোহাইড্রেট হজম করতে সাহায্য করে, স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন সি-কে বলা হয় মানবদেহের জন্য সবচেয়ে উপকারী ভিটামিন। এটির অন্যতম কাজ হলো আমাদের মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস (হাড় বাঁকা), অস্টিওমেলাশিয়া, বয়স্কদের হাড় ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। ভিটামিন ই এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের প্রায় সবরকম রোগ বা দুর্বলতা উপশম করতে পারে। যায়।ভিটামিন-কে বলা হয় এসেনশিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। এটি হাড় ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। আর এসবকটি ভিটামিন পাওয়া যায় ডালিমে।
যেভাবে খাবেনঃ
ডালিম অত্যান্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এই ফলটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। আমরা পাঁকা ডালিম ডালিম এমনিই খেতে পারি। আবার ডালিমের জুস করেও খেতে পারি। এখন ডালিমের জ্যাম বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যদিও এসব খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত না। ডালিমের সব উপকারি পুষ্টিগুণ পেতে হলে একে এমনি বা জুস করে খেতে হবে।